ইউক্রেন যুদ্ধে বাখমুতের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে : জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্র বাখমুত শহরের পরিস্থিতি কঠিন থেকে আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠছে। রুশ বাহিনী ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে শহরটি দখলের চেষ্টা করছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান রক্ষা করতে যেসব জিনিস প্রয়োজন শত্রুরা ক্রমাগত তার সবকিছু কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে’। ইউক্রেনের নেতার এমন সময় এই মন্তব্য করেন যখন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন কিয়েভ সফরের সময় রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে চীনকে সতর্ক করে দেন। খবর বিবিসির।
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে কিছু ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুতে, যার একটি অংশ রাশিয়া এবং তার বিচ্ছিন্নতাবাদী মিত্রদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি রুশ বাহিনী এই শিল্প শহরটি দখলের জন্য জোড়ালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সৈন্যরা স্থলভাগ দখলের চেষ্টায় রয়েছে।
স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, ‘শহরের প্রায় সব রাস্তা (রুশ) সেনারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে’।
এদিকে, রাত্রিকালীন ভাষণে পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আবারও তার মিত্রদের প্রতি আধুনিক যুদ্ধ বিমান পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন যাতে দেশের সমগ্র অঞ্চলকে ‘রুশ সন্ত্রাসী তৎপরতা’ থেকে রক্ষা করা যায়।
অন্যদিকে, সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জ্যানেট ইয়েলেন আকস্মিক কিয়েভ সফরে ইউক্রেনে অর্থনৈতিক ও বাজেট সহায়তার জন্য সর্বশেষ এক দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। ইয়েলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বার্তাটি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যেখানে গত সপ্তাহে কিয়েভে নিজের সফরের সময় জো বাইডেন বলেছিলেন ইউক্রেন যতদিন না যুদ্ধে জয়ী হবে ততদিন ওয়াশিংটন ইউক্রেনের সাথে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মস্কোতে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে যা অনেকের কাছে রাশিয়ার সাথে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত বলে মনে হচ্ছে।