ইউটিউব থেকে ৮ বছরের শিশুর আয় বছরে ২৬০ লাখ মার্কিন ডলার
বয়স মাত্র আট। কিন্তু এ বয়সেই কাজের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। বছরে আয় করছে আড়াই কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের রায়ান কাজির কথা। সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সবচেয়ে বেশি আয়কারী ইউটিউবারের তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে রায়ান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
২০১৯ সালে রায়ান কাজির ইউটিউব থেকে আয় হয়েছে দুই কোটি ৬০ লাখ ডলার। ইউটিউবে শিশুদের খেলনা নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করে এই অর্থ আয় করেছে রায়ান। ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ১ জুন ২০১৮ থেকে ১ জুন ২০১৯ সময়ের মধ্যে ইউটিউবের সর্বোচ্চ আয়কারীর তালিকায় উঠে এসেছে রায়ানের নাম।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি আয় করা তালিকায় ছিল রায়ান। গত বছর রায়ানের আয় ছিল দুই কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।
শিশুটির আসল নাম রায়ান গুয়ান। তার ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘রায়ান’স ওয়ার্ল্ড’। রায়ানের মা-বাবা ২০১৫ সালে এই চ্যানেলটি চালু করেন। চ্যানেলটিতে বর্তমানে দুই কোটি ২৯ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে।
শুরুতে ‘রায়ান টয়েস রিভিউ’ নামে চালু করা চ্যানেলটিতে বিভিন্ন নতুন খেলনার বাক্স খোলা এবং তা নিয়ে রায়ানের খেলার ভিডিও দেখানো হতো। ফোর্বস প্রকাশিত সবচেয়ে বেশি আয় করা ইউটিউব ভিডিও নির্মাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ‘ড্যুড পারফেক্ট’ নামে একটি চ্যানেল। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাঁচ বছর বয়সী রাশিয়ার অ্যানাস্তাশিয়া র্যাডজিনস্কার চ্যানেল। অ্যানাস্তাশিয়া ইন্টারনেটে ন্যাস্তিয়া নামেও পরিচিত।
ন্যাস্তিয়ার পরিবার অন্তত ছয়টি ইউটিউব চ্যানেল চালায়। যেখানে ন্যাস্তিয়া ও তার বাবা মিলে বিভিন্ন গেম, নার্সারি স্তরের কবিতা আবৃত্তি, ভালো আচরণ সম্পর্কিত ভিডিও আপলোড করে। ইউটিউবে ন্যাস্তিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেলটির সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা এখন চার কোটি ২৪ লাখেরও বেশি। ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর ইউটিউব চ্যানেল থেকে ন্যাস্তিয়ার আয় হয়েছে এক কোটি ৮০ লাখ ডলার। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
ইউটিউব থেকে ২০১৯ সালের সবচেয়ে বেশি আয়কারী ১০ জনের তালিকা নিচে দেওয়া হলো :
১. রায়ান কাজি—দুই কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার
২. ড্যুড পারফেক্ট—দুই কোটি মার্কিন ডলার
৩. অ্যানাস্তাশিয়া র্যাডজিনস্কা—এক কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার
৪. রেহট অ্যান্ড লিঙ্ক—এক কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার
৫. জেফ্রি স্টার—এক কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার
৬. প্রেসটন—এক কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার
৭/৮. (যৌথভাবে) পিউডিপাই ও মার্কিপ্লায়ার—এক কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার
৯. ড্যানটিডিএম—এক কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার
১০. ভ্যানোসগেমিং—এক কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার