ইউরোপজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ও দাবানলে নিহত সহস্রাধিক
ইউরোপজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ও দাবানলে মৃত্যু এক হাজার ছাড়িয়েছে। আজ সোমবার ফ্রান্সে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হয়েছে। যুক্তরাজ্যেও তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। ইতালি, জার্মানি, গ্রিস, স্পেন, পর্তুগালের দিনের বেলায় চরম উষ্ণতা। বনে বনে লাগছে দাবানল। বলা হচ্ছে, তাপমাত্রার হিসেব রাখার পর থেকে এযাবৎকালে উষ্ণতমদিন রেকর্ড হচ্ছে ইউরোপজুড়ে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছে।
এক সপ্তাহে দক্ষিণ ফ্রান্সের ২৭ হাজার একর বনভূমি পুড়ে গেছে দাবানলে। ১৫ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়েও নেওয়া হয়েছে। বনের আগুন নেভাতে তিন হাজার দমকলকর্মী কাজ করছেন। সমুদ্রতীরগুলোতে আরাম পেতে বেড়েছে মানুষের ভিড়।
যুক্তরাজ্যে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এযাবৎকালের উষ্ণতম দিনের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। ইয়র্ক ও ম্যানচেস্টার থেকে লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব পর্যন্ত ব্রিটেনের বড় অংশজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাকি অংশেও উচ্চ তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের রেল কর্তৃপক্ষ সোম ও মঙ্গলবার ট্রেনে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
স্পেনেও সোমবার ৪০ দশমিক ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির অন্তত ৩০টি স্থানে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে পুড়ে গেছে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর বনভূমি।
পর্তুগালেও চলছে উষ্ণতম দিন। দেশটিতে দাবানলে পুড়ে গেছে ১৫ হাজার হেক্টর বনভূমি। মারা গেছে দুইজন, আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। হেলিকপ্টার দিয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে মারা গেছেন একজন। হাজার হাজার মানুষকে নেওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরে।
সোমবার স্পেনের তাপমাত্রাও ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দাবানল দেখা দিয়েছে অনেক বনে।
ক্রোয়েশিয়া, হাঙ্গেরি, গ্রিস ও ইতালিতেও দেখা দিয়েছে তীব্র দাবদাহ। বন পুড়ছে দাবানলে। কৃষি অঞ্চলগুলোতে দেখা দিয়েছে খড়া। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ইউরোপে উইনটারাইজেশন ব্যবস্থা থাকলেও, গরম থেকে বাঁচতে নেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। তাই মানুষজন পরিবার নিয়ে ছুটছেন গরম থেকে বাঁচতে।