ইতালি ও স্পেনে লকডাউন শিথিল, রাশিয়ায় বাড়ছে বিপদ

Looks like you've blocked notifications!

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মহাদেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইউরোপ। একক দেশ হিসেবে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে বেশি দেখা গেলেও ইউরোপের দেশ ইতালি ও স্পেনে আক্রান্ত এবং মৃতের তালিকার শুরুর দিকে আছে। তবে সম্প্রতি দেশগুলোতে মৃতের সংখ্যা কমে আসায় ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে আরোপিত কঠোর লকডাউন শিথিল করেছে।

তবে ইউরোপের আরেক দেশ রাশিয়ায় এখনো চলছে করোনার তাণ্ডব। তাই এখনই দেশটিতে চলমান লকডাউন শিথিল করা হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার, খবর দ্য গার্ডিয়ান।

স্পেনে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৪৭ হাজার ১২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং করোনায় মারা গেছে ২৫ হাজার ২৬৫ জন। তবে গত কয়েকদিনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসায় চলমান লকডাউন শিথিল করেছে দেশটি। আর এজন্য দীর্ঘ সাত সপ্তাহ পর মানুষদের বাইরে বের হওয়ার অনুমতি দিয়েছে স্পেন সরকার। দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী রোববার করোনায় ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা একদিনে গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম মৃত্যু।

এ ছাড়া দেশটিতে দোকানপাঠ, বুকশপ ও সেলুন সোমবার থেকে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গণপরিবহনে যাতায়ত করার সময় মাস্ক ব্যাবহার এখনো বাধ্যতামূলক থাকবে দেশটিতে।

এদিকে ইতালিতে প্রায় দুই মাস অবরুদ্ধ থাকার পর সোমবার থেকে শিথিল হচ্ছে লকডাউন। এদিন থেকে গড়ে দেড় লাখ মানুষের অ্যান্টিবডি পরীক্ষারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে, শনিবার দেশটিতে আরো ৪৭৪ জন করোনায় মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার।

ইতালিতে সোমবার থেকে কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান, পাইকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং ছোটো ছোটো দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বার, রেস্টুরেন্ট খোলা হলেও শুধু হোম ডেলিভারি সুবিধা পাওয়া যাবে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিপূর্ণভাবে খোলা হবে পহেলা জুন থেকে। এদিকে, কাজকর্ম না থাকায় আর্থিক সংকট আছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশ থেকে টাকা এনে সংসার চালাচ্ছেন কেউ কেউ।

ইতালি ও স্পেন সুখবর দিলেও রাশিয়ায় বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত রোববার দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক ১০ হাজার ৬৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যা একদিনের হিসেবে সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া এদিন মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। এমন অবস্থায় লকডাউন শিথিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো।