ইমরান খানের বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ, ফের গ্রেপ্তারের শঙ্কা

Looks like you've blocked notifications!
পাকিস্তানের লাহোর হাইকোর্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি। ছবিটি গত ১৫ মে-তে তুলেছিল রয়টার্স

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের লাহোরের জামান পার্কের বাড়ি ফের ঘেরাও করেছে দেশটির পুলিশ। এতে করে ফের গ্রেপ্তারের শঙ্কায় রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। খোদ ইমরান খান আজ বুধবার (১৭ মে) এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

এর আগে গত ৯ মে আল-কাদির দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইমরান খান। তবে, গ্রেপ্তারের একদিন পরেই অর্থাৎ, ১০ মে তাকে জামিন দেওয়া হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গ্রেপ্তারের পর বিক্ষোভে নামে তার দলের নেতাকর্মীরা। ওই সময় সহিংসতাসহ দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানো হয়।

এই হামলার জন্য পিটিআই নেতাকর্মীদের ওপর দোষ দিচ্ছে পাকিস্তানের বর্তমান সরকার। এমনকি, তাদের সতর্কও করা হয়। বিক্ষোভকারী ও হামলাকারীদের আশ্রয় দেওয়ারও অভিযোগ করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাদের হস্তান্তরের জন্য ২৪ ঘণ্টার সময়ও বেধে দেওয়া হয়। না হয়, পুলিশি অভিযানের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানানো হয়।

পিটিআই প্রধানের এই কথার ঘণ্টাখানেক আগে তার আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী বলেন, ‘ইমরান খানের জামিনের মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।’ তবে, ৭০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান বলেছেন, ‘আমাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হতে পারে।’ 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে ইমরান লেখেন, ‘গ্রেপ্তারের আগে এটা হয়তো আমার শেষ পোস্ট। পুলিশ আমার বাড়ি ঘিরে রেখেছে।’

আরেক ভিডিও বার্তায় ইমরান খান বলেন, ‘আমার বিরোধীরা আমার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই সৃষ্টিতে উন্মুখ হয়ে পড়ে আছে। আমি ভয় পাচ্ছি—এটি একটি বড় প্রতিক্রিয়া বয়ে আনবে, যা আমাদের দেশের বিশাল ক্ষতির কারণ হবে। কেউ যদি মনে করেন, এই কৌশলটি আমার দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে সহায়ক হবে, তাহলে এমনটি হবে না।’ এসময় বিক্ষোভের তদন্তে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশনের দাবি জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

বিষয়টি নিয়ে পাঞ্জাব প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী আমির মীর বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে এমন ৩০ থেকে ৪০ জন ইমরানের বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন, এমন তথ্য রয়েছে গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে। আমরা এই নিয়ে একটি আল্টিমেটাম দিয়েছি যে, তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হোক। এমনটি না করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইমরানের বাড়িতে কোনো সন্ত্রাসী লুকিয়ে নেই বলে জানিয়েছেন তার মিত্র ইফতিখার দুরানি।