ইরাকে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে আবারও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের উত্তরাঞ্চলে আল-বালাদ বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। গতকাল রোববার অন্তত আটটি মর্টার শেল ওই ঘাঁটিতে আঘাত হানে। এতে চার ইরাকি সেনা আহত হয়েছেন। গত বুধবারও এই বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান।
তারপর ঘাঁটিটি থেকে মার্কিন সেনাদের প্রায় ৯০ শতাংশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ১৫ জনের মতো সেনা ও একটি যুদ্ধবিমান সেখানে রয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এসব তথ্য জানিয়েছে।
রোববার ইরাকি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, অন্তত আটটি কাটিয়ুসা-টাইপ রকেট আল-বালাদ বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। এতে দুজন ইরাকি সেনা কর্মকর্তা ও বিমানবাহিনীর দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
আল-বালাদ হচ্ছে ইরাকের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের প্রধান ঘাঁটি, যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দখল করে নিয়ে নিজেদের বিমানঘাঁটিতে রূপান্তর করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকাদাররাও সেখানে থাকতেন। তবে সাম্প্রতিক ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার পর মার্কিন সেনা, যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সরঞ্জাম এবং ঠিকাদারদের তাজি ও ইরবিল ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়া হয়।
গত মাসে ইরানি মদদপুষ্ট ইরাকি মিলিশিয়াদের হাতে এক মার্কিন ঠিকাদার নিহত হন। এরপর সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন বিমান হামলায় একই দিনে ২৫ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হন। তাঁদের জানাজায় শরিক হয়ে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এবং মার্কিন দূতাবাসে হামলায় জড়িতদের অধিকাংশ শিয়া মতাবলম্বী ইরাকি।
এরপর গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন ইরাকি জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। এর প্রতিশোধে গত বুধবার ইরাকে মার্কিন সেনাদের অবস্থান করা আল-বালাদসহ দুটি ঘাঁটিতে উপর্যুপরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরান দাবি করে, এতে ৮০ জনের মতো মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে।