ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে সেনা কমাচ্ছেন ট্রাম্প, দলের সিনেটরদের হুঁশিয়ারি
ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই হাজার সেনা কমানোর নির্দেশ জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার এই নির্দেশ জারি করেছেন। বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে বহিষ্কার করার পর মিলারকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এসপার আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাসংখ্যা কমানোর বিরোধী ছিলেন।
এদিকে ইরাক ও আফগানিস্তানে সেনা কমানোর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ট্রাম্পের সমর্থনে সব সময় শক্ত অবস্থান নেওয়া মিচ ম্যাককনেলসহ বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটর। মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিষয়ক নেতা ম্যাককনেল ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক বড় পরিবর্তন না আনার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই ভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের বিপক্ষে ছিলেন।
এদিকে, ট্রাম্প এখনো নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় জো বাইডেনের কাছে পরাজয় স্বীকার করেননি। তবে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের ক্ষমতা শেষ হওয়ার পাঁচদিন আগেই ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে সেনা কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার এ সম্পর্কে বলেছেন, ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধের সফল ও দায়বদ্ধ সমাপ্তির যে নীতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গ্রহণ করেছেন তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ও’ব্রায়ান বলেছেন, ইরাক ও আফগানিস্তানে অবশিষ্ট মার্কিন সেনারা এসব দেশের মার্কিন দূতাবাসসহ অন্যান্য স্থাপনার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।