ইরানের হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাল যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!

ইরাকে দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, গত মঙ্গলবার ইরানের তিনটি স্থান থেকে ইরাকে ১৬টি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্ক এসপারের পাশে  ছিলেন মার্কিন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ চেয়ারম্যান মার্ক মিলে।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ইরানের ছোড়া ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১১টি আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে এবং অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইরবিল ঘাঁটির কাছে এসে পড়ে। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তাঁবু, বিমান চলাচলের পথ, গাড়ি পার্কের স্থান ও একটি হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছে বলেও জানান মার্ক এসপার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ চেয়ারম্যান মার্ক মিলে জানান, সামরিক সরঞ্জাম, যানবাহন ও বিমান ধ্বংস করতে এবং সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরান।

মার্ক মিলে বলেন, ‘যা দেখেছি এবং যা জানতে পেরেছি, তাতে আমার বিশ্বাস, তারা (ইরান) অবকাঠামোর ক্ষতিসাধন, যানবাহন ও বিমান ধ্বংস করা এবং সেনা হত্যা করতে চেয়েছিল।’ এ সময় মার্ক মিলে দাবি করেন, মার্কিন সেনারা সময়মতো প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ন্যূনতম।  

এর আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন, সেনাদের সরিয়ে নেওয়া এবং কার্যকর সতর্কতা ব্যবস্থার কারণে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

ইরানের হামলার পর গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছিল, ইরাকে মার্কিন ও জোট বাহিনীর অন্তত দুটি ঘাঁটিতে এক ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

ওই হামলা চালানোর দাবি করে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ড কর্পস জানায়, মার্কিন হামলায় জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার জবাবে ইরাকে ওই হামলা করা হয়েছে।