ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমান ভূপাতিতের ভিডিওকারীসহ আটক ৩১
ইরানের তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইউক্রেনের বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্তত ৩০ জন এবং অনলাইনে এ ঘটনার ভিডিও পোস্টদাতাকে আটক করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
দেশটির আইন বিভাগের পক্ষ থেকে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মুখপাত্র গোলাম হোসেইন ইসমাইলি জানান, এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, বিশেষ আদালতে পুরো বিষয়টি দেখা হবে। শুধু বোতাম চাপার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে এর জন্য দায়ী করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। খতিয়ে দেখতে হবে পুরো বিষয়।
এ ছাড়া এ ঘটনার স্বীকারোক্তিকে ইরানের সেনাবাহিনীর জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেন রুহানি। মানুষের আস্থা ফিরে পেতে যা খুবই জরুরি।
অন্যদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবারও তেহরানের ইস্পাহানে বিক্ষোভ হয় বলে খবর পাওয়া যায়, যা দমনে রাস্তায় অবস্থান নেয় দাঙ্গা পুলিশ।
বিমান ভূপাতিতের এ ঘটনাকে অমার্জনীয় ভুল হিসেবে উল্লেখ করছে ইরান। যদিও এর আগে থেকে পশ্চিমা গণমাধ্যম ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ঘটনাটি ঘটার সন্দেহ করে। শুরু থেকেই ইরান তা অস্বীকার করে আসছিল। পরে ভিডিও প্রকাশ হলে তারা তা স্বীকার করে নেয়।
তবে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, ইরান পরিকল্পিতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে এই বিমানটি ভূপাতিত করে থাকতে পারে।
গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন ইরাকি জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। এর প্রতিশোধে গত বুধবার ইরাকে মার্কিন সেনাদের অবস্থান করা আল-বালাদসহ দুটি ঘাঁটিতে উপর্যুপরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরান দাবি করে, এতে ৮০ জনের মতো মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। সেদিনই ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়।
এর আগে গত মাসে ইরানি মদদপুষ্ট ইরাকি মিলিশিয়াদের হাতে এক মার্কিন ঠিকাদার নিহত হন। এরপর সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন বিমান হামলায় একই দিনে ২৫ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হন। তাঁদের জানাজায় শরিক হয়ে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এবং মার্কিন দূতাবাসে হামলায় জড়িতদের বেশির ভাগ শিয়া মতাবলম্বী ইরাকি। দূতাবাসে হামলার ঘটনার পরই জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র।