ইলেকটোরাল ভোট গণনার বিরুদ্ধে যেতে পারেন প্রতিনিধি পরিষদের ১৪০ সদস্য : সিএনএন

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (বাঁয়ে) ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয় ‘সার্টিফাই’ বা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করার কথা রয়েছে। এমন সময় মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদের দুজন সদস্য দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করছেন আগামী ৬ জানুয়ারি প্রতিনিধি পরিষদের অন্তত ১৪০ জন রিপাবলিকান সদস্য ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গণনার বিপক্ষে ভোট দেবেন।

নির্বাচনের ফল পাল্টাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান সমর্থকেরা যে চেষ্টা চালাচ্ছেন, তাতে আসলে আর কোনোভাবেই আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। তবে  কয়েক ঘণ্টার জন্য নতুন প্রেসিডেন্ট নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় দেরি করানো সম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ, বিচার বিভাগ, ইলেকটোরাল কলেজসহ অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নর ও নির্বাচন কর্মকর্তারা এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ভোটকে প্রভাবিত করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে নির্বাচনে পরাজয় মানতে নারাজ ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কংগ্রেসে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গণনা থামাতে হলে সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস—উভয় কক্ষ থেকে একজন করে অভিযোগ দিতে হবে। মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর জোস হাওলি গত বুধবার জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ জানাবেন। সিনেটের অন্যরাও অভিযোগ জানানোর সারিতে যোগ দিতে পারেন। বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান রিপ্রেজেন্টেটিভ সদস্য ইলেকটোরাল ভোট গণনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

তবে সিএনএন জানিয়েছে, সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিষয়ক নেতা মিচ ম্যাককনেল অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে তা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর বেন স্যাসে এই নীতির বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছেন। বুধবার রাতে ফেসবুক পোস্টে সিনেটর বেন স্যাসে বলেন, সার্টিফাই করার প্রক্রিয়ায় অভিযোগ জানানোর যে প্রচেষ্টা তা প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন।