ইসরায়েলে চলছে ভোটগ্রহণ, আবারও কি ফিরবেন নেতানিয়াহু?

Looks like you've blocked notifications!
ইসরায়েলের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর)। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট পদত্যাগ করার পর ৩ বছরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো নতুন নির্বাচন হচ্ছে দেশটিতে। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা এবং চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

ইসরায়েলের শীর্ষ নেতারা ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধীদলীয় নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু টুইটারে বলেছেন, ‘ভোট দিতে যান, লিকুদ’।

চার বছরের কম সময়ের মধ্যে পঞ্চমবারের জন্য একটি নতুন সংসদ নির্বাচন করতে এবার সবার চোখ ফিলিস্তিনি ভোটারদের দিকে। ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠনে ব্যর্থ হন দেশটির রাজনীতিবিদরা। ফলে একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে ইসরায়েল।

গত কয়েক সপ্তাহের জরিপগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ইসরায়েলে বসবাসকারী ১৮ লাখ ফিলিস্তিনি ভোটার উপস্থিতি ‘ঐতিহাসিকভাবে কম হবে’ বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদরা জোর দিয়ে বলেছেন যে এই সম্প্রদায়ের ভোট সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় ফিরে আসাকে বাধা দিতে পারে।

ফিলিস্তিনের কোনও দল পার্লামেন্টে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট নিশ্চিত পাবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। এই ভোটের পরিমাণ ইসরায়েলের ১২০ আসনের নেসেটের চারটি আসনের সমান।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে প্রচারণা তীব্র হওয়ার সঙ্গে বিশ্লেষক, কর্মী ও বাসিন্দারা বলছেন যে তারা ভোট দেওয়ার অনুপ্রেরণা কম অনুভব করছেন। তবে কিছু জরিপ ইঙ্গিত দেয় যে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে পারে। ঐতিহাসিকভাবে, ফিলিস্তিনি ভোটার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

দুই বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর গত বছরের জুনে, দক্ষিণপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ নাফতালি বেনেট মধ্যপন্থি ইয়ার লাপিদের সঙ্গে একটি জোট চুক্তি করে প্রধানমন্ত্রী হন। এটি লিকুদ নেতা নেতানিয়াহুর রেকর্ড ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছে।

আড়াই সপ্তাহ পরে, তাদের ভঙ্গুর জোট আরও ভেঙে যায়। ফলে লাপিদ বেনেটের কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন এবং মঙ্গলবারের নির্বাচন নির্ধারিত হয়।

২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে ইসরায়েলের ক্ষমতায় ছিলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শেষ চার নির্বাচনেও সর্বোচ্চ আসন পেয়েছিল তার দল লিকুদ পার্টি। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেননি তারা। ইসরায়েলে ক্ষমতায় যেতে হলে ১২০ আসনের নেসেটে কমপক্ষে ৬১টি আসন দখলে নিতে হবে কোনও দলকে।