উইঘুর ও নিরাপত্তা ইস্যুতে উদ্বেগ, চীনা কোম্পানির নজরদারি যন্ত্র সরাল যুক্তরাজ্য

উইঘুর মানবাধিকার প্রশ্নে উদ্বেগ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে চীনা মালিকানাধীন কোম্পানির নিরাপত্তা সরঞ্জামের পরিবর্তে অন্য কোম্পানির ডিভাইস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট।
এশিয়ান লাইট জানিয়েছে—চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুরদের উপর রাষ্ট্রীয়ভাবে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার। উইঘুরদের যে বন্দিশিবিরে রাখা হচ্ছে, সেখানে দুই চীনা কোম্পানি হিকভিশন ও ডাহুয়ার নজরদারির ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে।
যেহেতু মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হয়, এমন কাজের সঙ্গে চীনা এ দুটি কোম্পানির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাই যুক্তরাজ্যে হিকভিশন ও ডাহুয়াকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছে ডজনখানেক মানবাধিকার সংস্থা।

ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এমন সময় এ সিদ্ধান্ত এলো, যখন দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যেরা উইঘুরে নিপীড়ন চালানো, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের সরকারি-বেসরকারি গবেষণা ল্যাবে অনুপ্রবেশ করে তথ্য চুরি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনে চীনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছিলেন।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চীনের ওই দুটি কোম্পানিকে এরই মধ্যে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাজ্য এখনও ওই কোম্পানি দুটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে—দুই লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৬ টি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ওই দুটি কোম্পানি যুক্তরাজ্যে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তবে, ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যবহৃত ক্যামেরার নেটওয়ার্ক এই হিসাবের বাইরে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সে সংখ্যাও অনেক বেশি হবে।