উত্তর কোরিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন
উত্তর কোরিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠক শেষে দেশটির নেতা কিম জং উনের চমক হিসেবে পিয়ংইয়ংয়ে প্রদর্শন করা হলো সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য নতুন ধরনের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রকে বিশ্বের শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরেছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে আজ শুক্রবার এ খবর জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কিম জং উনের তত্ত্বাবধানে পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সাং স্কয়ারে একটি সামরিক কুচকাওয়াজে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের কয়েকদিন আগেই সামরিক শক্তি প্রদর্শন করল উত্তর কোরিয়া। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রকে উত্তর কোরিয়ার ‘সবচেয়ে বড় শত্রু’ হিসেবে আখ্যা দেন কিম।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম থেকে প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যায়, কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে মোট চারটি সাদা ও কালো রঙের আবরণযুক্ত মিসাইল প্রদর্শন করা হয়েছে। মিসাইল প্রদর্শনের সময় কিমকে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখা যায়।
তবে এর আগে গত অক্টোবরের কুচকাওয়াজে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল বা আইসিবিএম দেখানো হয়েছিল। সেটি এবারের কুচকাওয়াজে দেখানো হয়নি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, ওই আইসিবিএম দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু বোমা ফেলা সম্ভব।
এর আগেই পরমাণু প্রকল্প ও ব্যালেস্টিক মিসাইল তৈরির জন্য উত্তর কোরিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহল।
এদিকে, গত সপ্তাহে কিম জং উন বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং যুক্তরাষ্ট্রে যে-ই ক্ষমতায় আসুক না কেন, পিয়ংইয়ং-এর প্রতি ওয়াশিংটনের নীতির কোনো পরিবর্তন হবে—এমনটা তিনি প্রত্যাশা করেন না। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কিম উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রাগার ও সামরিক শক্তি বাড়ানোর ব্যাপারেও জানিয়েছেন। তিনি জানান, এরই মধ্যে নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের পরিকল্পনা অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিম জং উন এমন মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি সামান্য হলেও, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের বিষয়টি উপভোগ করেছেন কিম জং উন।
কিম বলেছেন, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে চায় না, যদি না কোনো বৈরি শক্তি প্রথমে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এটি ব্যবহার করে।