এবার মানবদেহে করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষা শুরু করছে জে অ্যান্ড জে
নভেল করোনাভাইরাসের জন্য তৈরি ভ্যাকসিন আগামী সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিল মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন বা জে অ্যান্ড জে। সে সময়টা এগিয়ে এনে জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, মানবশরীরে করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করছে এই খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুকারক সংস্থা। আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকেই কাজ শুরু করতে যাচ্ছে তারা।
এরই মধ্যে মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের। আগামী বছরের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি ডোজের ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারে, এমনভাবেই কাজ করবে সংস্থাটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে চার লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। কীভাবে করোনা থেকে মুক্তি মিলবে, এখনো জানে না কেউ। চেষ্টা শুরু হলেও, এখনো কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি, যা এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের মোকাবিলা করতে পারে। তাই সেভাবে কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই করোনাজনিত কোভিড-১৯ রোগের। একে তো রোগটি মারাত্মক ছোঁয়াচে, তার ওপর কোনো ওষুধ না থাকায় আটকানো যাচ্ছে না মৃত্যু। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, এক হাজার ৪৫ জনের ওপর প্রাথমিকভাবে এ ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হবে। এর মধ্যে যেমন থাকবেন ১৮ থেকে ৫৫ বয়সী অনেকে, তেমনই ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব অনেকের ওপরও হবে পরীক্ষা। যুক্তরাষ্ট্র ও বেলজিয়ামে হবে এ ভ্যাকসিনের পরীক্ষা।
আরেক মার্কিন সংস্থা, ইউএস বায়োটেক মডার্না ইতোমধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকটা এগিয়েছে। ভ্যাকসিন পরীক্ষায় আপাতত মধ্য স্তরে রয়েছে তারা। এ পরীক্ষা ৬০০ জনকে নিয়ে করা হবে। জুলাই মাসে হবে শেষ ধাপের পরীক্ষা।
এ ছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা,স্যানোফি, পিফিজার ও গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের মতো ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাও জোর কদমে চালাচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ। এক একটি সংস্থা রয়েছে এক এক স্তরে।
ইতোমধ্যেই মানবদেহে প্রায় ১০টি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পরীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এ ফল পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে।