এবার শুক্র গ্রহে মিশনের ঘোষণা নাসার

Looks like you've blocked notifications!
ডাভিঞ্চি ও ভেরিটাস নামে সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহ হিসেবে শুক্রে দুটি মিশন পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ছবি : সংগৃহীত

সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহ হিসেবে শুক্রে দুটি মিশন পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ডাভিঞ্চি ও ভেরিটাস নামে মিশন দুটি আগামী ২০২৮ ও ২০৩০ সালে পরিচালনা করা হবে। প্রত্যেক মিশনের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মিশন দুটির মাধ্যমে গ্রহটির পরিবেশ ও ভৌগলিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তবে ইউরোপ ও জাপানের মহাকাশযান এর আগে শুক্রের কক্ষপথে পরিভ্রমণ করেছে।

নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, মিশন দুটি ‘৩০ বছরের বেশি সময়ের পর গ্রহটিতে আমাদের অনুসন্ধানের সুযোগ দেবে’। সর্বশেষ শুক্রে পাঠানো নাসার মিশন ছিল ১৯৯০ সালে। তখন ম্যাগেলান নামে একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছিল নাসা।

নেলসন বলেন, ‘এই দুটি সিস্টার মিশনের লক্ষ্য হলো শুক্র কীভাবে একটি জ্বলন্ত গ্রহে পরিণত হলো তা বোঝার চেষ্টা করা, যার পৃষ্ঠে সীসাও গলে যায়।’

সূর্যের দ্বিতীয় নিকটতম গ্রহ শুক্র সৌরজগতের সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ। এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা সীসা গলিয়ে ফেলতে সক্ষম।

ডাভিঞ্চি+ নামে প্রথম মিশনে গ্রহটির পরিবেশ সম্পর্কে বিশদ অনুসন্ধানের মাধ্যমে কীভাবে এটি গঠিত ও বিবর্তিত হয়েছে সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হবে। শুক্রে কখনো সমুদ্র ছিল কিনা তাও অনুসন্ধান করা হবে এই মিশনে।

ভেরিটাস নামে দ্বিতীয় মিশনের মাধ্যমে শুক্রের পৃষ্ঠের মানচিত্র প্রস্তুত করা হবে। এর ফলে গ্রহটি ভৌগলিক ইতিহাস জানা সম্ভব হবে। এ ছাড়া কীভাবে এটি পৃথিবীর চেয়ে ভিন্নভাবে বদলেছে সেই উত্তরও অনুসন্ধান করা হবে।

ভেরিটাস মিশনে রাডারের মাধ্যমে শুক্রের পৃষ্ঠের উচ্চতা যাচাই করা হবে এবং এখনও সেখানে আগ্নেয়গিরি রয়েছে কিনা ও ভূমিকম্পের মতো ঘটনা ঘটে কিনা তা অনুসন্ধান করা হবে।