এ সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পেতে পারে ফাইজারের করোনা টিকা
যুক্তরাষ্ট্রের আগেই যুক্তরাজ্য চলতি সপ্তাহের মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি নভেল করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং জার্মানির জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক যৌথ উদ্যোগে নভেল করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে।
ব্রিটিশ সরকারের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রকেরা টিকার আনুষ্ঠানিক মূল্যায়ন শুরু করতে চলেছেন। এ ছাড়া টিকা প্রয়োগের বিষয়ে আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে (এনএইচএস) প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করার পর, প্রতিষেধকটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এফডিএ) কাছে আবেদন করেছে ফাইজার ও বায়োএনটেক। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এফডিএ জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটির জরুরি প্রয়োগের অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাদের উপদেষ্টা কমিটি আগামী ১০ ডিসেম্বর বৈঠকে বসবে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত প্রথম টিকাদানের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাজ্যে টিকাদানের অনুমোদনের দায়িত্বে থাকা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ)টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার চূড়ান্ত তথ্য পর্যালোচনায় যত দিন সময় প্রয়োজন, তা নিতে পারে। কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রচুর পরিকল্পনা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র আরো বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যসেবা যাতে কোভিড-১৯-এর টিকাদানের জন্য প্রস্তুত থাকে, সেজন্য এই খাতে প্রচুর পরিকল্পনা নিয়ে রাখা হয়েছে।’
এর আগে যুক্তরাজ্য সরকার গত সপ্তাহে এমএইচআরএকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাটি মূল্যায়ন করার জন্য বলে।
যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে চার কোটি ডোজ টিকার চেয়ে রেখেছে। তবে এ বছরের শেষ নাগাদ তারা এক কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার আশা করছে। এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে এই পরিমাণ ভ্যাকসিন যুক্তরাজ্যের ৫০ লাখ মানুষের সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।