ওমিক্রন ধরনটির ৩০ বারের বেশি ‘মিউটেশন’ হয়েছে

Looks like you've blocked notifications!
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। প্রতীকী ছবি

শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এখন পর্যন্ত ওমিক্রন ধরনটির ৩০ বারের বেশি ‘মিউটেশন’ হয়েছে। আর এর স্পাইক প্রোটিনও বদলেছে বহুবার।

মানুষের দেহের মধ্যে ঢুকতে কোভিড-১৯ ভাইরাস এই স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে। করোনার ভ্যাকসিন সাধারণত এই স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়।

অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এআইআইএমএস) প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ওমিক্রন ধরনটির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা দরকার। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বিবিসির।

বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, স্পাইক প্রোটিন বদলের মাধ্যমে ওমিক্রন ধরনটি ৩০ বারের বেশি মিউটেট করেছে বলে জানা গেছে। তাই ইমিউনোস্কেপ মেকানিজম বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু বেশিরভাগ ভ্যাকসিন স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে, তাই স্পাইক প্রোটিন অঞ্চলে অনেক মিউটেশনের ফলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে।

এই রকম পরিস্থিতিতে, ভারতে ব্যবহৃত ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতাকে গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করা দরকার বলে জানান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া।

ভারতীয় সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2) জিনোমিক কনসোর্টিয়া ইনসাকোগ (INSACOG) কোভিড-১৯-এর নতুন বি.১.১.৫২৯ (B.1.1.529) ধরনটি শনাক্ত করার কাজ করছে, যদিও ভারতে এখনও এর উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়নি, বলেছেন কর্মকর্তারা।

এদিকে বতসোয়ানার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ইউরোপের আরও চার দেশে শনাক্ত হয়েছে। দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি ও চেক প্রজাতন্ত্র। এর আগে ইউরোপের আরেক দেশ বেলজিয়ামেও ধরনটি শনাক্ত হয়। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডসেও আক্রান্ত থাকার কথা জানা যাচ্ছে।

উল্লেখ, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর বতসোয়ানা, হংকং, বেলজিয়াম ও ইসরায়েলেও এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন।