কথা রাখলেন মাস্ক, বেচলেন ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার

Looks like you've blocked notifications!
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের এলন মাস্ক। ছবি : সংগৃহীত

টুইটার অনুসারীদের মতামতকেই কি তাহলে প্রাধান্য দিলেন এলন মাস্ক?

নিজের কোম্পানির ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করবেন কি না, তা টুইটার অনুসারীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক। টুইটারে মাস্কের গত রোববারের ওই পোল পোস্টে বেশির ভাগ টুইটার অনুসারী শেয়ার বিক্রির পক্ষে মত দেন।

মাস্কের ওই ভোট জরিপের কয়েক দিনের মধ্যেই জানা গেল—প্রায় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন এলন মাস্ক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এলন মাস্ক ২০১৬ সালের পর প্রথম বারের মতো নিজের শেয়ার বিক্রি করলেন। টেসলার প্রায় ৩৬ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছেন মাস্ক, যার অর্থমূল্য প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। টেসলা ছাড়া আরও নয় লাখ ৩৪ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছেন ১১০ কোটি মার্কিন ডলারে।  

সংবাদমাধ্যম ফোর্বসের খবর অনুযায়ী, এলন মাস্কের বিক্রি করা ৪৫ লাখ শেয়ারের পরিমাণ টেসলায় তাঁর মোট শেয়ারের তিন শতাংশ। এলন মাস্কের ২৮ হাজার ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদের বেশির ভাগই এসেছে বৈদ্যুতিক যান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি থেকে।

এর আগে শেয়ার বিক্রি করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত শনিবার (৬ নভেম্বর) সোয়া ছয় কোটির বেশি টুইটার অনুসারীর মতামত জানতে চেয়ে নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন এলন মাস্ক। ৫৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট শেয়ার বিক্রির পক্ষে যায়। অপরদিকে, ৪২ দশমিক ১ শতাংশ বিক্রির বিপক্ষে মত দেন। ৩৫ লাখের বেশি অনুসারী ওই পোল পোস্টে মতামত দেন। পোল পোস্টের মন্তব্যের ঘরে এলন মাস্ক লিখেছিলেন, ‘এখানে যে মতের সংখ্যাগরিষ্ঠতা মিলবে, আমি সেটি মেনে নেব।’

আর ভোটাভুটির পরে এলন মাস্ক বলেন, ‘যে ফলাফলই আসুক আমি মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলাম।’

টেসলায় অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দিলে আয়কর এড়াতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন এলন মাস্ক। নিজের কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেতন বা বোনাস নেন না, শুধু মালিকানার শেয়ার রয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত ৩০ জুনের হিসাব অনুযায়ী, টেসলায় এলন মাস্কের শেয়ার সংখ্যা ১৭ কোটি পাঁচ লাখ।

সম্প্রতি এলন মাস্ক এক টুইটে বলেছেন, টেসলার শেয়ার বিক্রি করে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থায় অনুদান হিসেবে দিতে চান তিনি।