করোনাভাইরাসে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ১৮০০ ছাড়াল

Looks like you've blocked notifications!

ইউরোপের দেশ ইতালিতে গতকাল রোববার একদিনে ৩৬৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮০৯ জনে। ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এর আগে একদিনেই এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৭ জনে পৌঁছেছে।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে তিন হাজার ৫০৯ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং মৃতের সংখ্যার হিসাবে চীনের পর ইতালি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে গত মঙ্গলবার ছয় কোটি জনসংখ্যার ইতালিকে কোয়ারেন্টিন করার সিদ্ধান্ত নেন। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিএনও নিউজ এবং ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে এ খবর জানিয়েছে।

এরই মধ্যে বিশ্বের ১৫৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এর মধ্যে ইউরোপের দেশগুলো রয়েছে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে। চীনের পর এখন ইউরোপ পরিণত হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থলে। এর মধ্যে ইতালির পরিস্থিতি দিন দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে, দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

চীনে করোনাভাইরাসের মহামারি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু করলেও বিশ্বেজুড়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৬৯ জন। এর মধ্যে ৭৫ হাজার ৯১০ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসা চলছে ৮৩ হাজার ৫৮৪ জনের। আর এই ভাইরাসের থাবায় মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ৪৭৫ জনের। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিএনও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

গত বছরের শেষ দিকে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। করোনায় চীনেই সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ১৯৯ জন। তবে গত কয়েক দিনে চীনে করোনায় আক্রান্তের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।

কিন্তু এর ঠিক উল্টো চিত্র ইউরোপ মহাদেশজুড়ে। এ মুহূর্তে চীনের পরিবর্তে ইউরোপ করোনা মহামারির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে বলে এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইউরোপে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইউরোপে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ইতালি, স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের। চীনের পরে এখন পর্যন্ত ইতালিতে করোনাভাইরাসে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে পরিস্থিতি আরো ভায়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন।