করোনাভাইরাসে ক্ষতির মুখে বিশ্বের বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো

Looks like you've blocked notifications!

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিভিন্ন কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে চীন ও এর বাইরে বিভিন্ন দেশের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

চীনের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলিবাবা গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের ত্রৈমাসিক আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চীনের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে… সম্ভাব্যভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে।’

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্যানিয়েল ইওং ঝাং বলেন, ‘মার্চ মাসে শেষ হতে যাওয়া চলতি প্রান্তিকে আলিবাবার সামগ্রিক রাজস্ব বৃদ্ধির হারে এবং এর কিছু ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে একই ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল বলেও জানান ড্যানিয়েল। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

এ ছাড়া উত্তর আমেরিকা, ইউরোপসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়ার খবর জানিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বিলাসবহুল পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রলফ লরেন বৃহস্পতিবার সতর্ক করে জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে ফোর্থ কোয়ার্টারে বিক্রয় সাত কোটি ডলার থেকে কমে সাড়ে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে।

চীনে পেপসিকো পরিচালিত ছয়টি কারখানার মধ্যে একটিও পুনরায় চালু হয়নি। সেখানে দেড়শটি হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে হিলটন। গত এক সপ্তাহে চীনে থাকা রল্ফ লরেনের দুই-তৃতীয়াংশ স্টোর বন্ধ হয়ে গেছে।

চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৮৩ জনে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১১৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ শুক্রবার প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৬৫ হাজারে। নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চার হাজার ৮২৩। আজ শুক্রবার সকালে চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

চীনের স্বাস্থ্য কমিশন বলেছে, মৃতের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে কোভিড-১৯ নামকরণ করা এ ভাইরাসে আক্রান্ত ৬৫ হাজারের মধ্যে হুবেই প্রদেশে শনাক্ত করা হয়েছে ৫১ হাজার ৯৮৬ জনকে।