করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াল, পর্যবেক্ষণে আছে প্রায় ২ লাখ

Looks like you've blocked notifications!

চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক হাজার ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৬৩৮ জনে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। এ ছাড়া পর্যবেক্ষণে আছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। আর হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা খুবই কম। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

চীন ছাড়াও এ পর্যন্ত বিশ্বের ২৮টি দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার জন্য চীনের হুবেই প্রদেশের উহান নগরীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও একটি বিশেষ মেডিকেল টিম পাঠাচ্ছে। এ ছাড়া শহরের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখছে কমিউনিটির স্বাস্থ্যকর্মীরা।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন মুখপাত্র মি ফেং বলেন, ‘চীনে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ছয় হাজার ৪৮৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন তিন হাজার ২৮১ জন। এ ছাড়া প্রায় দুই লাখ মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

এদিকে গতকাল সোমবার থেকে চৈনিক নববর্ষের ছুটি শেষে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন চীনারা। ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে কয়েক স্তরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাও জারি রয়েছে। দিনরাত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান চলছে চীনজুড়ে।

কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘কাজে যোগ দিয়েছি আমরা। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কোম্পানির পক্ষ থেকে মাস্ক সরবরাহ করাসহ আরো বিভিন্ন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জ্যাং পেং নামের এক চাকরিজীবী জানান, ‘এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’

নানা ধরনের বিশ্বাসের দেশ চীন। কিন্তু করোনাভাইরাস ঠেকাতে কোনো কুসংস্কার নয়, কেবল চিকিৎসকদের ওপর ভরসা রাখতে আহ্বান জানিয়েছে সরকার। গণমাধ্যমে এ নিয়ে বিবৃতি প্রচার করা হচ্ছে বারবার। এ ছাড়া ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকেও এ ভাইরাস নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে সিঙ্গাপুরে প্রথম একজন বাংলাদেশি নাগরিকের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। গত রোববার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতির মাধ্যমে এ খবর জানায়।

৩৯ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি নাগরিক সম্প্রতি চীন সফর করেননি। সিঙ্গাপুরে থাকা অবস্থাতেই তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিসেস-এর (এনসিআইড) আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে বলেও জানানো হয়। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরে মোট ৪৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত রোববার জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্য থেকে এরই মধ্যে ছয়জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। এ ছাড়া বাকিদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা গুরুতর।