করোনায় আক্রান্ত বাড়লেও লকডাউন শিথিল করলেন পুতিন

Looks like you've blocked notifications!

বৈশ্বিক মহামারির রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হিসাবে গতকাল সোমবারই ইতালিকে টপকে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে রাশিয়া। এমনকি তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যের ঘাড়েও নিশ্বাস ফেলছে। রাশিয়ায় একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৬৫৫ জন। এমন সর্বাধিক সংক্রমণের দিনেই আজ মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী চলমান লকডাউন প্রত্যাহার করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অফিস আদালত খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেশবাসীকে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

পূর্বধারণকৃত এক ভাষণে গতকাল সোমবার পুতিন দেশব্যাপী ছয় সপ্তাহ ধরে চলমান লকডাউন সমাপ্তের ঘোষণা দেন। পুতিন বলেন, দেশকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রস্তুত করার সুযোগ দিতে এবং ‘হাজারো প্রাণ’ বাঁচাতে লকডাউন তুলে নিচ্ছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

পুতিন বলেন, ‘আগামীকাল (আজ), ১২ মে, থেকে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে কর্মহীন দিনের অবসান হবে।’ তবে প্রয়োজন হলে কোনো অঞ্চল নিজেদের মতো নিয়ম বজায় রাখতে পারবে বলেও জানান পুতিন।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৮ মার্চ দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন পুতিন। কিন্তু লকডাউন সত্ত্বেও করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি বরং গত ১ মে থেকে পরিস্থিতির ক্রমাবনতি হয়েছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। অবশ্য আক্রান্তের তুলনায় মৃতের সংখ্যা কম। এখন পর্যন্ত রাশিয়ায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজার ৯ জন। এমন অবস্থায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশ থেকে লকডাউন শিথিল করার কথা ঘোষণা করেছেন পুতিন। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার কম হওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটতে পেরেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘লকডাউনের কারণে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আগামীকাল (আজ) মঙ্গলবার থেকে আর্থিক ক্ষেত্রের লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো কোনো অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন, এখনো লকডাউন প্রয়োজন, তাহলে তারা তা বহাল রাখতে পারবে।’

তবে লকডাউন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেও রাশিয়ার জনসাধারণকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘মহামারি এখনো শেষ হয়নি। বিপদ এখনো কাটেনি। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনো ভাবেই দ্বিতীয়বারের মতো করোনাভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করতে না পারে। তাই আপাতত দেশে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ থাকবে।’ সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।