করোনা চিকিৎসায় ড্রোন দিয়ে পিপিই ও ওষুধ সরবরাহ

Looks like you've blocked notifications!

আকাশপথে চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে নেমে আসছে ড্রোন। রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত ড্রোন পৌঁছে দিচ্ছে নভেল করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য অতি প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী বা পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস ও ওষুধের প্যাকেট। ভারতের নাগাল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের রাজধানী কোহিমার বিভিন্ন এলাকায় ড্রোনের সাহায্যে এভাবেই চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম নাগাল্যান্ড পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।

কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় চিন্তিত নাগাল্যান্ড সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে ড্রোনের সাহায্য নেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। রাজধানী কোহিমার কোভিড-১৯ হাসপাতাল থেকে আইজি স্টেডিয়াম পর্যন্ত চিকিৎসাসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

ড্রোনে বহন করা পাঁচ কিলোগ্রামের প্যাকেটে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ও সেবায় নিযুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক জিনিসপত্র থাকছে। জানা গেছে, কোহিমায় পরীক্ষামূলক ড্রোন ব্যবহারে সফলতা এলে রাজ্যের সর্বত্র চালু হবে ড্রোনের মাধ্যমে পিপিই কিট ও ওষুধ পাঠানোর কাজ।

ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার যেতে সক্ষম এ ড্রোন। প্রতিবার আট কিলোমিটার পরিধির এলাকায় মেডিকেল কিট পাঠানো যাবে। এর ফলে সড়কপথে যাওয়ার সময় যেমন বাঁচবে, তেমনি করোনায় আক্রান্ত ও সংক্রমিতদের সংস্পর্শ এড়ানো সম্ভব।

ড্রোন দিয়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের কিট পাঠানোর এমন অভিনব প্রয়োগ আরো বড় পরিসরে করা হবে বলে জানিয়েছে নাগাল্যান্ড সরকার। এরই মধ্যে দুটি ড্রোন কাজে নামানো হয়েছে। নাগাল্যান্ড ভূতাত্ত্বিক তথ্য ব্যবস্থার তৈরি এ ড্রোন দুটির বহন ক্ষমতা পাঁচ কেজি থেকে বাড়িয়ে ২৫ কেজি পর্যন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সে অনুযায়ী কাজও চলছে। আপাতত দুটি ড্রোন জরুরি পরিষেবা দিচ্ছে।

উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনো রাজ্যই করোনার সংক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আসাম ও ত্রিপুরা। এ দুটি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।