করোনা থেকে সেরে ওঠাদের রক্ত দিয়ে তৈরি হবে ওষুধ!

Looks like you've blocked notifications!

বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী নভেল করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছে জাপানের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তাদের তৈরি ওষুধ বাজারে এলে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে জানিয়েছে তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষেধক ব্যবসায় শাখার প্রেসিডেন্ট ডাক্তার রাজিব ভেঙ্কায়া আশা করছেন, আগামী ৯ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে এই ওষুধ বাজারে আসবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে তিন হাজার ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৩৮২ জন। এর মধ্যে চীনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার পেরিয়েছে। করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-নাইনটিন রোগের চিকিৎসায় ওষুধ তৈরির কাজে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে বিশ্বের একাধিক সংস্থা। এর মধ্যে জাপানের বৃহত্তম ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা তাকেদা গতকাল বুধবার করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বাতা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ভাইরাসজনিত তীব্র শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এর আগে প্লাজমা বা রক্তরসভিত্তিক চিকিৎসা যথেষ্ট কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এ পদ্ধতির ওপর ভর করে করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরির কাজ চালাচ্ছে তাকেদা। তাদের এ গবেষণার উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ওষুধ তৈরির কাজে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির রক্ত ব্যবহার করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের শরীর থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করবেন গবেষকরা।

তাকেদার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নতুন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করলে সংক্রমণ রোধে তাঁর শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা আবার সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। এভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্রুত সেরে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল।’

তাকেদা গত বুধবার আরো জানিয়েছে, তারা ওষুধ তৈরিতে নিজেদের পরিকল্পনার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন। এ ছাড়া করোনার ওষুধ প্রস্তুতের ক্ষেত্রে গবেষণাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।