কাউকে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির সুযোগ দেবে না ইরান : রুহানি

Looks like you've blocked notifications!

পেট্রলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ইরান সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘প্রতিবাদ করা জনগণের অধিকার, কিন্তু দাঙ্গা আর প্রতিবাদ এক নয়। আমরা সমাজে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির  সুযোগ দিতে পারি না।’

ইরানের রাজধানী তেহরানে গতকাল রোববার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন হাসান রুহানি। ইরানে গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে তেলের বর্ধিত মূল্য কার্যকর করা হয়। হঠাৎ করেই পেট্রলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্ষোভে শুরু করে সাধারণ মানুষ। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে রাজধানী তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন শহরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এ বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর আগে পেট্রলের ওপর ভর্তুকি উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর থেকেই গত শুক্রবার পেট্রলের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ইরানি গণমাধ্যম পার্স টুডে এ খবর জানিয়েছে।

এদিকে সরকারের দাবি, সুযোগসন্ধানী কিছু দুষ্কৃতকারী বিক্ষোভের নামে জনগণের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করার চেষ্টা চালায়। এ সম্পর্কে ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, ‘পেট্রলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পর কিছু মানুষকে রাস্তায় বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে তাতে সবার সন্তুষ্ট না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কাজেই সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরোধীদের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদের নামে কোনো ধরনের নাশকতা বরদাশত করা হবে না।’

রুহানি আরো বলেন, ‘সরকার আইন মেনেই যা করার করেছে... সরকারের তিন বিভাগের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

ইরান সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার পেট্রল ১৫ হাজার রিয়াল দরে প্রতি মাসে মোট ৬০ লিটার পেট্রল কিনতে পারবেন মোটরযান মালিকরা। এর আগে এক ব্যক্তি প্রতি লিটার ১০ হাজার রিয়াল দরে মোট ২৫০ লিটার পেট্রল কিনতে পারতেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, পেট্রলে ভর্তুকি বাদ দিয়ে সরকার যে পরিমাণ অর্থ আয় করবে, তা দিয়ে নিম্ন আয়ের দরিদ্র পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, ৭৫ শতাংশ ইরানি বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে রয়েছে। পেট্রলে ভর্তুকি বাদ দেওয়ায় সরকার যে আয় করবে, তা ইরানের কোষাগারে জমা না রেখে জনগণকে সহায়তা করা হবে।