কানাডায় ক্ষমতার মসনদে ফের জাস্টিন ট্রুডো
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/09/21/tyy.jpg)
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় সদ্য সমাপ্ত পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয় লাভের মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় মসনদে বসতে যাচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো। যদিও সোমবার অনুষ্ঠিত ৪৪তম সাধারণ নির্বাচনে তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবর অনুযায়ী, জয়ের প্রতিক্রিয়ায় জাস্টিন ট্রুডো বিষয়টিকে ‘ক্লিয়ার ম্যান্ডেট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
জয়ের প্রতিক্রিয়ায় জাস্টিন ট্রুডো এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ধন্যবাদ, কানাডা- আপনার ভোট দেওয়ার জন্য, লিবারেল দলে আপনার আস্থা রাখার জন্য, একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই শেষ করতে যাচ্ছি। এবং আমরা কানাডাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সবার জন্যে।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) মন্ট্রিলে বক্তব্য প্রদানের সময় জাস্টিন ট্রুডো সমর্থকসহ বিরোধী দলীয় নেতা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর যাবৎ আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। চলুন সবাই একসঙ্গে কাজ করি।’ এ সময় কানাডায় নতুন দিনের সূচনার প্রতিশ্রুতিও দেন ট্রুডো।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে তুমুল লড়াইয়ের ফলে সংসদে হয়তো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না ট্রুডোর দল। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে জাস্টিন ট্রুডোকে।
এবার মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াল তাণ্ডবের মধ্যেই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুই বছর আগেই আগাম নির্বাচন ডাক দিয়েছিলেন ট্রুডো। যদিও কানাডার সাধারণ মানুষ এতে খুব একটা সন্তুষ্ট নয়। ফলে ৪৯ বছর বয়সী ট্রুডোর সামনে সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
গত আগস্টে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে জাস্টিন ট্রুডো এগিয়ে ছিলেন। জনমত জরিপে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান ছিল সামান্য। ফলে কেউ কেউ আবার বিরোধী নেতা এরিন ও’টুলের কনজারভেটিভ পার্টির জয়ের সম্ভাবনাও দেখছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, সংখ্যালঘু সরকারের প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এবার একক সরকার গঠন করতে পারবেন কি-না; নাকি আসন হারিয়ে পার্লামেন্টে বিরোধীদের শক্তিশালী হয়ে ওঠার সুযোগ দেবেন, এখন সেই শঙ্কাই সবার সামনে দেখা দিয়েছে।
এর আগে সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিটে গোটা দেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। যেখানে সবচেয়ে বেশি ১৯৯টি আসন রয়েছে অন্টেরিও ও কিউবেকে। যা পুরো দেশের অর্ধেকেরও বেশি।
এ দিকে মেইল ভোট গণনার কারণে হয়তো পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পেতে একটু বেশি সময় লাগতে পারে। এখনো মেইলের মাধ্যমে দেওয়া আট লাখের মতো ভোট গণনা শুরু হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ, এবারের ভোটে মহামারি করোনাভাইরাস ছাড়াও দেশের আবাসন, অর্থনীতি, জলবায়ু সংকট, স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও ভোটারদের মনে দাগ কেটেছে। যদিও জাস্টিন ট্রুডো আবার ক্ষমতায় ফিরলে কতটুকু স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবেন, এবার সেই শঙ্কা জনমনে থেকেই যাচ্ছে।