কাবুল থেকে ইউক্রেনের বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা সত্য নয়

আফগানিস্তানের কাবুল থেকে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ইউক্রেনের একজন মন্ত্রী। ইউক্রেনের ওই মন্ত্রী বলেছিলেন, বিমানটি ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ইউক্রেন সরকার পরে জানিয়েছে, এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। খবর গার্ডিয়ানের।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভগেনি ইয়েনিন স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত রোববার অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা আমাদের একটি বিমান ছিনতাই করে। ছিনতাইকারীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। বিমানে ইউক্রেনের নাগরিকদের পরিবর্তে অজ্ঞাত যাত্রীরা ছিল। অস্ত্রের মুখে বিমানটি ইরানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ইউক্রেনের মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ভিন্ন তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিমান ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো- উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েনিন আফগানিস্তান থেকে যাত্রীদের নিয়ে ফিরতে পাইলট যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন সেটা বুঝিয়েছেন। এ সময় তিনি জানান, আফগানিস্তান থেকে তিনটি ফ্লাইটে ২৫৬ জন নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যে বিমানগুলো আফগানিস্তানে গিয়েছিল সবগুলো এখন দেশেই রয়েছে।

এদিকে বিমান ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠার পর ইরানের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেনের বিমানটি উত্তরপূর্ব শহর মাসাহাদে জ্বালানি নেওয়ার জন্য অবতরণ করেছিল। এরপর বিমানটি পুনরায় ইউক্রেনের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে।
অন্যদিকে ফ্লাইটরাডার ডাটার তথ্য অনুসারে, সোমবার ইউক্রেনের একটি বিমান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ইরানের মোসাহাদ শহরের দিকে যায়। পরে বিমানটি মোসাহাদ থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যায়।