কার পেছনে কত বাম্বুবাগান চলে যাবে, বুঝতেও পারবেন না : মমতা

Looks like you've blocked notifications!

পার্লামেন্টে বিল উত্থাপনের আগে প্রথা অনুযায়ী বিরোধীদের বিলটি খুঁটিয়ে দেখার সুযোগ দিচ্ছে না বিজেপি সরকার। গতকাল বুধবার এমন অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, আগে ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হতো। এখন সময় দেওয়া হয় না। সকাল ১১টায় কোনো বিল আলোচনা হওয়ার কথা থাকলে বিল পাঠানো হচ্ছে আগের দিন রাত ১২টায়।      

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেন, ‘পার্লামেন্টে এখন সেকেন্ডে সেকেন্ডে বিল আসে। আগে তাও ৭২ ঘণ্টা টাইম দিত। এখন টাইম দেয় না। রাত ১২টায় বিল পাঠাচ্ছে, সকাল ১১টায় আলোচনা হবে। তার মধ্যে যে কী ঢুকিয়ে দিচ্ছে, সে তো ভগবান জানে! আর মেজরিটি (সংখ্যাগরিষ্ঠতা) আছে বলে এমন এমন কথা ঢোকাচ্ছে, আপনি যদি থরোলি (খুঁটিয়ে) না পড়েন, কখন যে কার পেছনে কত বাম্বুবাগান চলে যাবে, সেটা কেউ বুঝতেও পারবেন না। কাজেই জায়গাটা খুব সিরিয়াস।’

লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় ফল ভালো হয়নি তৃণমূলের। একটি লোকসভা আসনের দখল রাখা গেলেও অধিকাংশ বিধানসভাতেই বিজেপির পেছনে তৃণমূল। দরজায় কড়া নাড়ছে পৌরসভা ভোট। শহরের ভোটে রেজাল্ট ভালো না হলে সামনে বছর বিধানসভাতেও এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা স্তরে রয়েছে নানা রকম অভিযোগ। কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল দলকে সতর্ক করে জানালেন, কে কোথায় কী করছে, সবই তাঁর জানা। ভালো কাজে প্রশংসা যেমন মিলবে, তেমনি খারাপ কাজ করলে শাসনও সহ্য করতে হবে। এর পাশাপাশি মমতা তাঁর বক্তব্য ব্লকে ব্লকে প্রচার করার পরামর্শও দিয়েছেন।

মমতা বলেন, ‘আপনারা ভাষণ নোট করেন তো? এই ভাষণ সিডি করে ব্লকে ব্লকে শোনাবেন। কর্মীদের ট্রেনিং হয়ে যাবে। তারপর তাঁরা এনআরসি (নাগরিকপঞ্জি), সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) নিয়ে মানুষকে বোঝাবেন।’