কিম কোমায় নাকি মৃত, ফের গুঞ্জন শুরু
গুঞ্জন যেন থামছেই না উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনকে নিয়ে। কয়েকদিন ধরেই তাঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়িয়েছে কিম জং উন মারা গেছেন।
সেই গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢাললেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক সাবেক কূটনীতিক। গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার ওই সাবেক কূটনীতিক কোরিয়া হেরাল্ডকে বলেন, চীনের অজ্ঞাত একটি সূত্র তাঁকে জানিয়েছে কিম ‘কোমায় আছেন’। তবে তাঁর এখনো মৃত্যু হয়নি।
ওই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ৩৬ বছর বয়সী কিম ‘মারা গেছে’ অথবা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই গুঞ্জন নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
সম্প্রতি বোন কিম ইয়ো জংয়ের হাতে বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাড়তি দায়িত্ব দেওয়ায় কিমের এবারের মৃত্যুর গুঞ্জন বেশি জোরালো হয়েছে।
তবে বরাবরের মতোই এবারও কিমের এসব মৃত্যু সংবাদ গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন উত্তর কোরিয়া নিয়ে বিশ্লেষক, গবেষকরা। উত্তর কোরিয়া সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ বিবিসি মনিটরিংয়ের গবেষক অ্যালিস্টার কোলম্যানও তাই মনে করেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সাবেক কর্মকর্তা চীনের অজ্ঞাত এক সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটা বলেছেন।...আমার যুক্তি মিলছে না।’
কিমের মৃত্যুর এসব খবরকে ‘গতানুগতিক গুজব’ বলে উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন ডেলুরি। এসব সংবাদের কোনো ভিত্তি নেই বলে মনে করেন তিনি।
উত্তর কোরিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক ও মন্টেরেরির ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের পূর্ব এশিয়া ননপ্রলিফারেশন প্রোগ্রামের পরিচালক জেফরে লুইস টুইটারে লিখেছেন, ‘গত ৩০ দিনে ১০ বার তিনি (কিম) সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছেন। সবশেষ সংবাদমাধ্যমে আসেন ১৯ আগস্ট।’
করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকেও কিমের মৃত্যু নিয়ে নিয়ে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন ছাড়ায়। কিন্তু এসব গুঞ্জন ব্যর্থ করে দিয়ে সংবাদমাধ্যমে হাজির হন তিনি।