গণতন্ত্র ও সাগরের ‘স্বাধীনতা’ রক্ষায় এশিয়ার পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

১০ জাতির অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশন্সের (আসিয়ান) সম্মেলনে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গণতন্ত্র ও সাগরের ‘স্বাধীনতা’ রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পাশে থাকবে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার এ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রতি চীনের পদক্ষেপকে ‘জবরদস্তিমূলক’ বলে আখ্যায়িত করে এটি ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি হুমকি’ বলে মন্তব্য করেন বাইডেন।

অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সম্মেলনে এদিন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কোচিয়াংও যোগ দিয়েছিলেন। খবর রয়টার্সের।

জো বাইডেন বলেন, একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে ওয়াশিংটন ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারে।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি কৌশলগত যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। চীন দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং তাইওয়ানের ওপর সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়ে তুলছে।

তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি আছে বলে সম্মেলনে ফের উল্লেখ করেন বাইডেন।

চীন ‘আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার’ প্রতি হুমকি তৈরি করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘চীনের জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

আসিয়ানের এ সম্মেলনে লে কোচিয়াং বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি, স্থিতিশীলতা, জাহাজ চলাচল ও উপরে বিমান চলাচলের স্বাধীনতা সবার স্বার্থেই বজায় রাখতে হবে।

লে কোচিয়াং বলেন, ‘দক্ষিণ চীন সাগর আমাদের সবার বাড়ি।’

গত সপ্তাহে বাইডেন বলেছিলেন, ১৯৭৯ সালের একটি আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের আত্মরক্ষায় সহযোগিতা দিতে বাধ্য, তাই চীন আক্রমণ করলে দ্বীপটিকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে যাবে।

এ ধরনের কোনো কিছু হলে ওয়াশিংটন কীভাবে সাড়া দেবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ‘কৌশলগত অস্পষ্টতার’ নীতি অবলম্বন করে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, কিন্তু বাইডেনের মন্তব্যে দেশটির ওই অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত থাকায় এ নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়।