গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। আজ বুধবার গাজার একাধিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী সেনারা। হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ শিশুসহ ৫৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া বহুতল ভবন ধ্বংস হয়েছে। খবর আল-জাজিরা ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত সোমবার জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার জবাবে বিমান হামলা চালায় হামাস। তারপরই গাজায় ধারাবাহিকভাবে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অপর দিকে সশস্ত্র সংগঠন হামাস যোদ্ধাদের হামলায় অন্তত পাঁচ ইসরায়েলির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একটি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে। অপর একটি ভবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা রকেট হামলার উৎসস্থলে এবং হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া হামাসের গোয়েন্দা নেতাদের হত্যা করতে পেরেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
২০১৪ সালের পর এটিই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। সেবার সাত সপ্তাহের যুদ্ধে দুই হাজার ১০০ গাজাবাসী ও ৭৩ ইসরায়েলি নিহত হয়। এবারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।
জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত শান্তিদূত টর ওয়েননেসল্যান্ড টুইটে বলেছেন, ‘সত্বর হামলা বন্ধ করুন। পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছি আমরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব পক্ষের নেতাদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ হলে তার পুরো খেসারত হিসেবে সেখানকার সাধারণ মানুষকেই সব ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। জাতিসংঘ সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে। এখনই সংঘাত বন্ধ করুন।’
আজ ভোরে গাজাবাসী হঠাৎ দেখেন, তাদের বাড়িঘর কাঁপছে। ইসরায়েলি মিসাইলের আঘাতে আকাশ আলোময় হয়ে ওঠে। হামাসের ছুড়া রকেট ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আটকে যায়।
ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের নিকটে আরব ও ইহুদি বসতিওয়ালা লড নামের একটি শহরে রকেট হামলায় দুজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। একটি গাড়িতে রকেট বোমা পড়লে এই দুজনের মৃত্যু হয়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলেছে, এদের একজন সাত বছরের মেয়ে শিশু।
অন্যদিকে, হামাস জানিয়েছে গাজায় বহুতল ভবনে হামলার জবাবে বিরসেবা ও তেল আবিবে তারা ২১০টি রকেট বোমা ছুড়েছে।