গ্রিসে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে দাবানল, খালি হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
গত তিন দশকের মধ্যে সর্বাধিক তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রিসে ছড়িয়ে পড়া দাবানল এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপে গতকাল রোববার দাবানলের ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে সেখানকার আকাশ কমলা রঙ ধারণ করে, সূর্যের আলো আটকে যায়। গত কয়েক দিনের দাবানল প্রাচীন বনাঞ্চল পুড়িয়ে ছাই করে দিয়ে আশপাশের গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট শুরু হওয়া ওই দাবানল গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ ইভিয়ার বনভূমি, পর্বত ও গিরিখাতগুলোকে ছেয়ে ফেলে। গ্রীষ্মকালের জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিত এলাকাটির উপকূলে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আগুনে পুড়ে যায় অসংখ্য বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় হাজার হাজার বাসিন্দা ও পর্যটক সেখান থেকে সরে আসতে বাধ্য হন।
কয়েকদিন ধরে গ্রিসের তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সে দেশজুড়ে খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে।
গ্রিক ও ইউরোপীয় বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা এই গ্রীষ্মে দক্ষিণ ইউরোপের ইতালি থেকে বলকান এবং গ্রিস থেকে তুরস্ক পর্যন্ত ব্যাপক দাবানলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে, সপ্তাহ ধরে ব্যাপক দাবানলে জ্বলছে উত্তর রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। গত শনিবার সেখানকার এক ডজন গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে রাশিয়ায় এ বছর প্রায় দেড় কোটি একর বনভূমি দাবানলে পুড়ে গেছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলেও দাবানলের আগুনে শত শত ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনাঞ্চলের নিকটবর্তী গ্রামগুলোর জনজীবন।