চালু হচ্ছে ভারতের নতুন ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র

Looks like you've blocked notifications!
সেপ্টেম্বর মাসেই উদ্‌বোধন হতে যাচ্ছে ভারতের প্রথম ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র ‘আইএনএস অন্বেষ’। ছবি : সংগৃহীত

প্রতিরক্ষায় আরও এক ধাপ এগোতে চলেছে ভারত। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই উদ্‌বোধন হতে যাচ্ছে ভারতের প্রথম ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র ‘আইএনএস অন্বেষ’। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

‘ফ্লোটিং টেস্ট রেঞ্জ’ বা ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র প্রকৃতপক্ষে একটি জাহাজ। ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এই জাহাজের নকশা বানিয়েছে।

সমুদ্রে ভাসমান অবস্থাতেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারবে এই জাহাজ। বিশালাকার এই জাহাজ দৈর্ঘ্যে ২০০ মিটার, চওড়ায় ৬০ মিটার এবং এর আয়তন প্রায় দশ হাজার টন। বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র দেশে এই সুবিধা রয়েছে। এবার সে তালিকায় নাম উঠতে চলেছে ভারতের।

জাহাজটিতে একটি ‘ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল মিসাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম’ রয়েছে। আরও রয়েছে একটি রাডার। সঙ্গে একটি লঞ্চ প্যাড, একটি মিশন নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর তার গতিবিধি নজরে রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে এতে।

দেড় হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম  জাহাজটি। অর্থাৎ গুজরাট উপকূল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে তা পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের যেকোনো লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারবে বলে উল্লেখ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

জাহাজের নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র খুব সহজেই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে সমুদ্রের মাঝে কোনো বাধার সম্মুখীনও হতে হয় না। যাত্রীবাহী বা মালবাহী জাহাজের গতিপথ এড়িয়েও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করার ক্ষমতা রয়েছে এর।

২০১৫ সাল থেকে এই ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের মধ্যে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল। কিছু কারণে এত দিন তা সম্ভব হয়নি। তবে, এ মাসেই সেটি হতে চলেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের কাছেও এমন ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র রয়েছে। ভারতের এই ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রটি আপাতত ওড়িশা উপকূলের কাছে রাখা থাকবে।