চীনা ঋণ থেকে সরে এসেছে জাম্বিয়া

চীনের কাছ থেকে ১৬০ কোটি ডলারের ঋণ নেওয়া থেকে সরে এসেছে আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া। দেশটির এক হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ পুনর্গঠনে আইএমএফ থেকে ১৪০ কোটি ডলার সহায়তা পেতে সফল আলোচনায় পৌঁছেছে।
২০২০ সালে নভেম্বরে জাম্বিয়ার সার্বভৌম ঋণ খেলাপি হয়েছিল। পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে জি-২০ দেশগুলোর কোভিড সহায়তা ও পুনর্গঠনে নতুন একটি সহায়তা প্রকল্পের অধীনে আবেদন করে দেশটি।
চীন-আফ্রিকা রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (সিএআরআই) বিশ্লেষণ অনুযায়ী, চীন লুসাকার দ্বিপক্ষীয় সবচেয়ে বড় ঋণ দাতা এবং চীনের ঋণের প্রতি জাম্বিয়ার ব্যতিক্রমী উচ্চ পর্যায়ের প্রতিশ্রুতি আছে। চীনের সরকারি ও বেসরকারি ঋণ দাতাদের কাছে জাম্বিয়ার ঋণের পরিমাণ ৬৬০ কোটি ডলার, যা আগের সরকারের ঋণের থেকে পরিমাণে দ্বিগুণ।
সিএআরআইয়ের মতে, ২০০০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৬৯টি প্রকল্পে চীনা ঋণের অর্থ ব্যবহার করেছে কপার সমৃদ্ধ দেশ জাম্বিয়া। এসব প্রকল্পের বেশির ভাগ পরিবহণ ও বিদ্যুৎ খাতের।

আন্তর্জাতিক ঋণদাতা গোষ্ঠীর অভিযোগ, চীনের ঋণে বিস্তারিত তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অপ্রকাশ্য কিছু প্রত্যয় রয়েছে যা ঋণ পুনর্গঠনে গাম্বিয়ার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাম্বিয়া এমন একটি দেশ, যার ৬০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর বিদ্যুৎ আওতার বাইরে, ৭৭ শতাংশ সুপেয় পানি পায় না, ৪৬ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে। এতসব সমস্যার বাইরে কেবল সড়ক ব্যবস্থার ২৩৪ শতাংশ উন্নয়ন ঘটানো হবে কেবল চীনের দ্বারে পৌঁছানোর জন্য।
চীনের সঙ্গে কার্যক্রমের স্বচ্ছতার অভাবে দেশটিতে সমালোচনা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক অভিযোগ উঠছে জাম্বিয়ার সম্পদের ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে।