এএনআইয়ের প্রতিবেদন

চীনের কঠোর নজরদারিতে অস্বস্তিতে দেশটির সাধারণ মানুষ

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি

নিরাপত্তার অজুহাতে নাগরিকদের ওপর কঠোর নজরদারি চালানোর অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে প্রথম বারের মতো দেশটির অধিকার সচেতন মানুষের পক্ষ থেকে বিরল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে কর্তৃপক্ষ। সার্বক্ষণিক এ নজরদারির ফলে জনগণের একটি অংশের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে বলে এনএনআইয়ের বরাতে জানিয়েছে সংবদামাধ্যম দ্য প্রিন্ট।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে—অ্যামি কিন, জন লিউ ও অ্যামি চ্যাং চিয়েন দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ লিখেছেন, দেশটির সর্বত্র ছড়িয়ে আছে নজরদারি ক্যামেরা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে চীনা শিল্পীরা মঞ্চে অভিনয়ের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করছেন।

‘ফেসিয়াল রিকগনিশন ডেটা’ সংগ্রহের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দেশটির প্রাইভেসি অ্যাক্টিভিস্টরা। সমালোচনাকারীদের শনাক্ত করতে চীন সরকার কোভিড ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে ডিজিটাল মনিটরিং এড়াতে হয়, এ সংক্রান্ত টিপস শেয়ার করছে দেশটির ইন্টারন্টে ব্যবহারকারীরা।

প্রায় ১০০ কোটি নাগরিকের ডিজিটার ও বায়লোজিকাল তথ্য রয়েছে—এমন একটি কম্পিউটিং সিস্টেমের তথ্য বেহাত হওয়ার খবর গোপন করেছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। এ তথ্য তৃতীয় কোন পক্ষের হাতে গেলে সাধারণ মানুষের জন্য তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসে লিখেছেন অ্যামি কিন, জন লিউ ও অ্যামি চ্যাং চিয়েন।

তবে, এত বিপুল মানুষের বিস্তর তথ্য সংগ্রহের কারণ সম্পর্কে এর আগে চীন সরকার জানিয়েছিল যে, করোনা আক্রান্ত রোগীর অবস্থান শনাক্ত, জননিরাপত্তা এবং সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনে তারা তথ্য সংগ্রহ করছে।

ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে এমন একজন চীনের বাণিজ্যিক নগরী সাংহাইয়ের বাসিন্দা জুয়েল লিয়াও। তিনি বলেন, ‘আইন মানতে গিয়ে আপনি আপনার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলেন। কিন্তু তার সঠিক সংরক্ষণ করবে কে? আপনি কখনোই আশ্বস্ত হতে পারবেন না যে, কেউ আপনার তথ্য ফাঁস করে দিবে না।’

আর, বায়োলোজিকাল তথ্য ফাঁস হয়েছে এমন একজন আন্দোলনকর্মী ত্রিশ বছর বয়সি জিনভিয়া। চীনের তথ্য সংগ্রহ এবং তা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় দেশটির নাগরিকদের প্রতিক্রিয়ার কিছুটা আঁচ পাওয়া যায় তার বক্তব্যে। তিনি বলেন, চীন এমন একটি দেশ, যেখানে আপনার কোনো গোপনীয়তা নেই।’

সরাসরি জনগণের চলাফেরায় নজরদারি এবং তাদের ট্র্যাকিং করা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি উপায়ে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে চীন। মোবাইল কোম্পানি, কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানি, স্বাস্থ্য খাত, ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর কাছ থেকেও গ্রাহকের তথ্য ও লেনদেনের খোঁজ-খবর রাখার অভিযোগও রয়েছে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে।