চীনে করোনাভাইরাসে ৮১১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৭ হাজারের বেশি

Looks like you've blocked notifications!

চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১১ জনে। এ ছাড়া আজ রোববার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজারেরও বেশি বলে জানা গেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

এদিকে চীনের বাইরে পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্বের মধ্যে থাকলেও ক্রমেই আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে চীনের অবস্থা। প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে আক্রান্তের সংখ্যাও। তবে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরছেন অনেকে। কিন্তু আক্রান্তের চেয়ে সে সংখ্যা নেহায়েতই হাতে গোনা। প্রায় দুই দশক আগে চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকংয়ে সার্স ভাইরাসের মহামারীতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে নতুন করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা।

করোনায় সংক্রমণের শিকার হওয়াদের মধ্যে উহান শহরের বাসিন্দা সর্বোচ্চ সংখ্যক হলেও পাশের শিয়াও-গান শহরে দুই হাজারেরও বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।

এদিকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে বিভিন্ন দেশের কারখানাগুলোতে চলছে মাস্ক, গ্লাভস ও জীবাণুরোধী পোশাক বানানোর কাজ। যদিও দিনরাত কাজ করেও চাহিদার সঙ্গে যোগানের হিসাব মেলাতে পারছেন না কর্মীরা।

এরই মধ্যে প্রথমবারের মতো চীনে একজন মার্কিন ও জাপানি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এমন অবস্থায় চীন থেকে আসা কোনো ব্যক্তি যদি দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে না থাকে, তবে তাঁর জন্য কঠোর শাস্তি ঘোষণা করেছে হংকং। চীনের সঙ্গে সীমান্ত পুরোপুরি সিলগালাও করে দিয়েছে তারা।

এদিকে চীনের অন্য প্রদেশগুলো থেকে হুবেই প্রদেশে চলছে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও তাজা সবজি সরবরাহ। সেক্ষেত্রেও বিপত্তি কম নয়, কিছু শহরের সঙ্গে হুবেই প্রদেশের উহান শহরের যোগাযোগ নিষিদ্ধ করে দেওয়ায় চাপ পড়ছে অন্যদের ওপর। বন্দর বন্ধ থাকায় রপ্তানি খাতে ব্যাপক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে চীন সরকারকে।

এই সংকটময় মুহূর্তে চীনের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফ্যাব্রিজিও হচশিল্ড বলেছেন, ‘চীনের সব নাগরিকের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। কোনো সমস্যাই কোনো দেশের একার নয়। সবাই মিলে সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। আমরা সঙ্গেই আছি। কঠোর থাকো চীন, কঠোর থাকো উহান।’

এমন পরিস্থিতি যদি নিজ দেশে হয়, তবে কীভাবে সামলাতে হবে, তার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রাজিলে। এতে যোগ দেন লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশের চিকিৎসকরা।