চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২৩৩ জন, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪১১

Looks like you've blocked notifications!

চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩৩ জনে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার। মৃত ও আক্রান্তদের বেশিরভাগই চীনের হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। প্রদেশটিতে আজ শুক্রবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

হুবেই প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়া রোগীর সংখ্যা ৪১১ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল ৩৪৯ জন। 

এদিকে, করোনাজনিত কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপ শুরুর পর থেকে বিচ্ছিন্ন উহান নগরীর মানুষ দিন কাটাচ্ছে চরম দুর্ভোগে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানপাট বন্ধ। সেইসঙ্গে বাড়ির বাইরে বের হতে না পারায় বেঁচে থাকার তাগিদে বাধ্য হয়েই অনলাইনে কেনাকাটার দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে তাদের। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন—চাল, আটা, ময়দা, মাংস, দুধ, ডিম, সবজিও কিনতে হচ্ছে ই-কমার্সের সাইট থেকে।

চীনা কর্তৃপক্ষের মতে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রভূমি চীনের হুবেই প্রদেশে একদিনে নতুন রোগীর সংখ্যা অনেকটা কমে এলেও মৃত্যুর মিছিল থামছে না। যদিও পাকিস্তানের করাচিতে চীনা কনস্যুলেট জেনারেল দাবি করেছেন, মার্চের শেষ নাগাদ করোনাভাইরাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম বলেন, এখনো সময় আসেনি করোনাভাইরাসে মৃত্যু নিয়ে আশাবাদ জানানোর।

এমন সতর্কতার কারণে চীনে করোনার সংক্রমণ আগের চেয়ে কমেছে ঠিকই, কিন্তু মৃত্যু অব্যাহত আছে। যদিও ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চীনের গৃহীত পদক্ষেপকে বড় ধরনের সফলতা বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে এ নিয়ে সতর্ক থাকারও পক্ষপাতী ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রস আধানম।

তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চীন যে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে এরই মধ্যে সফলতা এসেছে। যার কারণে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও কমে আসছে। অন্য দেশগুলোর চীনকে অনুসরণ করা উচিত। তবে এটা ঠিক যে, এই ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে এখনো মুক্ত নয় বিশ্ব। এ নিয়ে নির্ভার হওয়ার অবকাশ নেই।’

এদিকে, চীনের প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।