চীনে করোনা বাড়ছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র তত্ত্বে’ কূটনীতিকদের জোর তৎপরতা
চীনে নভেল করোনাভাইরাসের ডেলটা ভ্যারিয়ান্ট শনাক্তের সংক্রমণ ফের বেড়েছে। নতুন করে আরোপ করা হয়েছে নানা রকম বিধিনিষেধ। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার (৬ আগস্ট) নতুন করে ১০৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ১২৪ জন।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে চীনা কূটনীতিকদের তৎপরতাও বেড়েছে। ওই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুযায়ী, চীনের কূটনীতিকদের দাবি, করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর গবেষণাগারে তৈরি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, সপ্তাহখানেক ধরে চীনা কূটনীতিকেরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের ফোর্ট ডেট্রিকে অবস্থিত ইউএস আর্মি মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজেসে তদন্ত অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
রয়টার্স জানায়, চীনে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৫ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছে। আগেরদিন যে সংখ্যা ছিল ৮০ জন। স্থানীয়ভাবে আক্রান্তদের বেশির ভাগ দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের।
এ ছাড়া উপসর্গহীন ৩২ জন করোনা রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে। এদেরকে অবশ্য নিশ্চিত করোনা আক্রান্তের তালিকায় রাখা হয়নি। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৫৮ জন।
তবে, দেশটিতে নতুন করে করোনায় মৃত্যুর কোনো তথ্য নেই।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চীনে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা জানানো হয়েছে ৯৩ হাজার ৬০৫ জন। আর দেশটিতে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৬৩৬ জনের।
চীনে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নতুন করে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সেসব এলাকার অধিকাংশ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সর্বশেষ হুবেই প্রদেশের উহান শহরের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দেশটির স্কুলগামী শিশুদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রদেশে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই টিকাদানের হার আরও বাড়াতে প্রাদেশিক প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৬০ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। সরকার চাইছে বছর শেষে দেশের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ যেন করোনার টিকা পায়।