চীনে কোভিড-নাইনটিন চিকিৎসায় ৩ হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ব্যবহার

Looks like you've blocked notifications!

চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৭৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের। এ ছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ সোমবার এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। এদিকে, কোভিড-১৯ বা কোভিড-নাইনটিন নামকরণ করা এ রোগে বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত চীনের হুবেই প্রদেশ। এ প্রদেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৬৯৬ জনের। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ হাজার ১৮২। চীনের অন্যান্য প্রদেশ থেকে দক্ষ চিকিৎসাকর্মীদের আনা হচ্ছে হুবেই প্রদেশে।

করোনার এমন প্রকোপে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত গোটা বিশ্ব। আরো বেশি চিন্তার কারণ হলো, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় এখনো মেলেনি। এই যখন পরিস্থিতি, হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ওয়াং হেশেং জানান, উহান শহরের হাসপাতালে এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ বা টিসিএম ব্যবহার করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজ ও জি নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

হেশেং আরো জানান, এরই মধ্যে টিসিএম বিশেষজ্ঞদের দুই হাজার ২০০ জনের একটি দল পৌঁছে হুবেই প্রদেশে পৌঁছেছে। ওই প্রদেশ থেকেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাস। হেশেং দাবি করেন, টিসিএম প্রয়োগে এরই মধ্যে কিছুটা আশাব্যঞ্জক ফলও পেয়েছেন তাঁরা। এরই মধ্যে ১৫ হাজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে টিসিএম প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে নতুন দুটি হাসপাতাল।

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। এই ভাইরাস শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় করে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটাতে পারে।

এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিজ্ঞানীরা এখনো তেমন কোনো আশার আলো দেখাতে পারেননি। তবে বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার উপায় হিসেবে মাস্কে মুখ-নাক ঢেকে বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন।