ছোট্ট ল্যাব থেকে কৃষকের ছেলের বড় সংস্থা, আনছেন করোনার ভ্যাকসিন!

Looks like you've blocked notifications!

নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এটাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত জিনিস। বিশ্বের বহু দেশের বিজ্ঞানীরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে দিন-রাত এক করে ফেলছেন। সে তালিকায় আছে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশ ভারতও।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আগামী ১৫ আগস্ট করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সুখবর শোনাতে পারে ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেক। সংস্থাটিকে হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্যও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। হায়দরাবাদের এ সংস্থার গবেষণা করোনা চিকিত্সায় নতুন পথ খুলে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের নেশায় কাজ করছেন একজন কৃষকের ছেলে ড. কৃষ্ণা এলা। তিনি ভারত বায়োটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাঁর তৈরি ছোট্ট একটি ল্যাব এখন বড় একটি সংস্থায় রূপান্তর হয়েছে। সে সংস্থা এখন করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করছে। সংবাদমাধ্যম জিনিউজ এ খবর জানিয়েছে।

আগামী ১৫ আগস্ট আসতে পারে ভারতের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন। ইতোমধ্যে এ ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ বলেছেন, কেন ১৫ আগস্ট, তার আগে কেন নয়? অনেকেই আবার বলেছেন, এত তাড়াহুড়ো করে ভ্যাকসিন আনলে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। তবে এসব বিতর্কের মাঝে ভারত বায়োটেক নিজের কাজ করে চলেছে। ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের সহযোগিতায় করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক। এর আগেও এ সংস্থা প্রচারের আলোয় এসেছিল। সস্তায় হেপাটাইটিসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছিল তারা। এমনকি জিকা ভাইরাসের টিকাও আবিষ্কার করেছিল সংস্থাটি।

ভারত বায়োটেকের প্রতিষ্ঠাতা ডা. কৃষ্ণান তামিলনাড়ুর থিরুথানির মানুষ। কৃষক পরিবারের ছেলে তিনি। কৃষি নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে কৃষি নিয়ে পড়াশোনা এগোয়নি। এরপর তিনি একটি কেমিক্যাল ও ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থায় যোগ দেন। পরে স্কলারশিপ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে যান। সেখানেই তিনি একের পর এক বড় সংস্থায় চাকরিও পান। কিন্তু ডা. কৃষ্ণানের মা চাইতেন ছেলে যেন দেশে ফিরে কাজ করে। এরপরই মায়ের কথা শুনে তিনি ভারতে ফেরেন। তারপর ভারত বায়োটেক নামে একটি ল্যাব খোলেন। সে ল্যাব এখন পূর্ণাঙ্গ একটি সংস্থা। 

ভারত বায়োটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষ্ণ এলা এরই মধ্যে জানিয়েছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল হলে বছরে ৩০ কোটি টিকা উৎপাদনের লক্ষ্য আছে তাঁদের।