জনগণের ইচ্ছের প্রতি সম্মান দেখান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘ
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ও অন্য রাজনৈতিক নেতাদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মিয়ানমারের জনগণের ইচ্ছের প্রতি সম্মান দেখাতে তিনি সামরিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার জাতিসংঘের মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছে। ‘এইসব ঘটনা গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রতি মারাত্মক আঘাত,’ বলেন মুখপাত্র।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাতে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী সু চি এবং দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) মুখপাত্র মিও নয়েন্ট রয়টার্সকে বলেছেন, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সু চি ছাড়াও প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতা আছেন।
এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সোমবার জানিয়েছে, এক বছরের জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার পর দেশটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নতুন সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেবে।
স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সামরিক বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর মিয়ানমারে এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়।
চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, দেশটির সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থা চলাকালীন ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করা হবে এবং গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন পর্যালোচনা করা হবে।
সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন মায়াওয়াদ্দি টেলিভিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাবাহিনীর সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়ের হাতে।
২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে জানিয়ে নতুন সংসদ অধিবেশন স্থগিতের দাবি জানিয়েছে সামরিক বাহিনী। তবে গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, সামরিক অভ্যুত্থানের হুমকির বিষয়ে উদ্বেগের মধ্যেই দেশটির নতুন সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে জরুরি অবস্থা জারির এ ঘোষণা এসেছে।