জর্জিয়ার ভোটের ফল বদলে সাহায্য করতে গভর্নরকে চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ভোটের ফল বদলে দিতে সাহায্য করার জন্য সেখানকার গভর্নর রিপাবলিকান নেতা ব্রায়ান কেম্পের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রায় ১৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে জো বাইডেনের কাছে হেরেছেন ট্রাম্প। এখানে মোট ভোট পড়েছে ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪৪টি। ১৯৯২ সালের পর ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ খ্যাত জর্জিয়ায় এবার জিতেছে ডেমোক্র্যাট দল।
ভোটের ফল বদলাতে উপর্যুপরি টুইটে গভর্নর ব্রায়ান কেম্পকে অঙ্গরাজ্যের আইনসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকতে বলেছেন ট্রাম্প।
জর্জিয়ার সিনেটের রানঅফ নির্বাচন উপলক্ষে ট্রাম্প এক র্যালিতে অংশ নেন। নির্বাচনের পর এই প্রথম জনসভায় ভাষণ দিলেন তিনি। র্যালির আগে বেশ কয়েকবার টুইট করে গভর্নরকে ভোটের ফল পাল্টাতে সহযোগিতার আহ্বান জানান ট্রাম্প।
জর্জিয়ার আইন অনুযায়ী, রানঅফ নির্বাচন হচ্ছে যদি কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান, সর্বাধিক ভোট পাওয়া দুজনকে প্রার্থী রেখে পুনরায় ভোটগ্রহণ হয়। জর্জিয়ায় দুটি সিনেট আসনে ৫ জানুয়ারি রানঅফ ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। ১৪ জানুয়ারি থেকে ওই নির্বাচনের আগাম ভোট শুরু হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চকক্ষ সিনেটে ১০০ আসনের মধ্যে ৫০টিতে জয় পেয়েছে রিপাবলিকানরা। আর ৪৮টিতে জিতেছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী। জর্জিয়ায় দুটি আসনের ফল অমীমাংসিত রয়েছে। সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে এই দুটি আসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, শনিবার সকালে জর্জিয়ার গভর্নর কেম্পকে ট্রাম্প অ্যাবসেন্টি ব্যালট সিগনেচারগুলোর নিরীক্ষা দাবি করতে বলেন। কেম্পের অবশ্য এমন কোনো এখতিয়ার নেই। সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, গভর্নর কেম্প ট্রাম্পের অনুরোধ নাকচ করে দিয়েছেন।
পরে টুইটারে ট্রাম্প লেখেন, ‘গভর্নর ব্রায়ান কেম্প বা অঙ্গরাজ্য মন্ত্রী একটি সিগনেচার ভেরিফিকেশনের (স্বাক্ষর যাচাই) অনুমোদন দিলে আমি অনায়াসেই জর্জিয়ায় জিততে পারব। কিন্ত এই দুই রিপাবলিকান কেন তাতে না বলছেন?’
এর জবাবে কেম্প টুইটে বলেছেন, তিনবার জনসমক্ষে তিনি সিগনেচার অডিটের আহ্বান জানিয়েছেন।
পরের টুইটে ট্রাম্প লেখেন, ‘আপনি যা করতে বলছেন, আপনার লোকজন তা করছে না, তারা কী লুকাচ্ছে। আপনি এখন অন্তত আইনসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকতে পারেন। এটা আপনি এখনই অনায়াসে এটি করতে পারেন।’
প্রেসিডেম্প ট্রাম্প এখনো জো বাইডেনের বিজয় অস্বীকার করে আসছেন এবং নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করছেন। তবে অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাননি তিনি। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মামলাও করেন ট্রাম্প। এর সবগুলোই ব্যর্থ হয়েছে।