জর্জিয়ায় আগামীকাল থেকে চালু ব্যবসা-বাণিজ্য, ট্রাম্পের দ্বিমত
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে আগামীকাল শুক্রবার থেকে খুলতে শুরু করবে ব্যবসা-বাণিজ্য। জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান কেম্প এ ঘোষণা দেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করার বিষয়টি উল্লেখ করে ব্রায়ান কেম্প জানিয়েছিলেন, বোলিং অ্যালি (এক ধরনের খেলার স্থান), ব্যায়ামাগার ও ফিটনেস সেন্টার, সেলুন ও ম্যাসাজথেরাপির প্রতিষ্ঠানসহ থিয়েটার ও রেস্তোরাঁগুলোও খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে আজ বৃহস্পতিবার এ খবর জানানো হয়েছে।
এদিকে, বিষয়টি জানতে পেরে দ্বিমত পোষণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি চাই, তিনি (ব্রায়ান কেম্প) যা সঠিক মনে করছেন, তাই করবেন। কিন্তু আমি তাঁর সঙ্গে একমত নই।’ যদিও এর আগে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছিলেন ট্রাম্প।
এর আগে গত সপ্তাহে অর্থনীতি সচল করার বিষয়ে অঙ্গরাজ্যগুলোর জন্য একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, ব্যবসা-বাণিজ্য খুলে দেওয়ার আগে ১৪ দিন ধরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তবে এও জানানো হয়, ওই নির্দেশিকা মানার বাধ্যবাধকতা নেই।
ওই নির্দেশিকা না মেনে জর্জিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য খুলে দেওয়ার সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা আরেকটু অপেক্ষা করতে পারত, অল্প একটু, বেশি না। কারণ, আমাদের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই আমি গভর্নরকে স্বাভাবিকভাবেই বলছি, আমি তাঁর সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই। কিন্তু তিনি যা মনে করেন, তাই করতে পারবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস-এর প্রধান ডা. অ্যান্থনি ফসি বলেছেন, ‘আমি যদি গভর্নরকে কোনো পরামর্শ দিতাম, তাহলে তাঁকে বলতাম, সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আমি তাঁকে পরামর্শ দেব, সুইচ চালু করেই চলে যাবেন না। কারণ, এ বিপর্যয় ফিরে আসার আশঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে, এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের কর্মকর্তা ডা. ডেবোরাহ বার্কস বলেছিলেন, ‘আমরা সব অঙ্গরাজ্যের গভর্নরদের বলেছি, যেন নির্দেশিকাটি অনুসরণ করা হয়।’ তবে তাঁরা নিজস্ব নির্দেশিকা তৈরি করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এরই মধ্যে জর্জিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১০২ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৪৬ জনের।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৭ হাজার ৬৮১ জনের। এ ছাড়া দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৪৯ হাজার ৯২ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৮৪ হাজার ৫০ জন।