জাতিসংঘে স্থান পাচ্ছেন না তালেবান ও মিয়ানমারের নতুন দূত
আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের নতুন কোনও দূত আপাতত জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আসন পাচ্ছেন না।
দুই দেশের হয়ে কে প্রতিনিধিত্ব করবেন সে প্রশ্নে বুধবারের এক বৈঠকে কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে জাতিসংঘের ক্রেডেনশিয়াল কমিটি।
কমিটির চেয়ারম্যান একথা জানিয়েছেন। তার মানে হচ্ছে, আফগানিস্তানের তালেবান এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের কোনও প্রতিনিধি এখন জাতিসংঘে স্থান পাচ্ছেন না।
আফগান তালেবান এবং মিয়ানমার দুদেশের কর্তৃপক্ষই এবছর তাদের উৎখাত করা সরকারের আমলের জাতিসংঘ দূতদের বদল করে নিজ নিজ সরকারের নতুন দূত নিয়োগের আবেদন জানিয়েছিল।
আফগানিস্তানের নতুন তালেবান সরকার এবং মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা দুই-ই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। জাতিসংঘ এই দুই দেশের নতুন দূতকে গ্রহণ করে নিলে তা হবে ওই স্বীকৃতি লাভের পথে এক ধাপ অগ্রগামী পদক্ষেপ। কিন্তু তা হতে দিল না জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের ক্রেডেনশিয়াল কমিটির সদস্য সংখ্যা ৯। এর মধ্যে আছে- রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রও। বর্তমানে কমিটির নেতৃত্বে আছে সুইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এই কমিটি বৈঠকে বসেছিল।
জাতিসংঘ সাধারন পরিষদের বর্তমান অধিবেশনে ১৯৩ সদস্যরাষ্ট্রের সদস্যপদ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। জাতিসংঘের কয়েকজন কূটনীতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আগেই ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, কমিটি আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পিছাতে পারে।
পরে বৈঠক শেষে কমিটির চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আনা কারিন অ্যানেস্ট্রম সাংবাদিকদের বলেন, আপাতত তালেবান ও মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে সিদ্ধান্তগ্রহণ মুলতবি রাখা হয়েছে।
তবে জাতিসংঘে আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের আগের সরকারের রাষ্ট্রদূতরাই প্রতিনিধিত্ব করবেন কি না—সে বিষয়েও কোনও মন্তব্য করেননি আনা কারিন।