জাতিসংঘ অধিবেশন : করোনা প্রতিরোধের আলোচনা ছাপিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা

Looks like you've blocked notifications!
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান (বাঁয়ে) এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি। ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে করোনা মহামারি প্রতিরোধের আলোচনা ছাপিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রবল হয়। মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে অঘোষিত যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। আফগানিস্তান ও সিরীয় সংকটের কারণে সৃষ্ট শরণার্থী ইস্যুতে উদ্‌বেগ জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ইউএন নিউজ ও এনডিটিভি তাদের পৃথক প্রতিবেদনে ইরান ও তুর্কি প্রেসিডেন্টের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

নিউইয়র্কে অধিবেশনে সশরীরে যোগ দেননি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তেহরান থেকে ভিডিও বক্তব্যে মার্কিন সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

ইব্রাহিস রাইসি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা অঘোষিত যুদ্ধের সামিল। পরমাণু কর্মসূচি শুরুর পরই যে কেবল ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে, তা কিন্তু নয়। যখন থেকেই ইরান স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে তখন থেকেই আমাদের দমিয়ে রাখতে ওয়াশিংটন নানা চেষ্টা করে আসছে। এমনকি করোনা মহামারির সময়ও, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা পায়নি ইরানি জনগণ।’

আফগানিস্তান ও সিরিয়া ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, এর ফলে সৃষ্ট শরণার্থী সংকটের কারণে মূল্য দিতে হচ্ছে তুরস্ককে। আফগানিস্তান সংকট যখনই শুরু হয়েছে, তখন থেকেই তুরস্কে শরণার্থী ঢল বেড়েছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘এর আগে শুরু হওয়া সিরীয় সংকট তো আছেই। এই দুই দেশের কারণে চাপে আছে আঙ্কারা। তাই, অবিলম্বে এর সমাধান হওয়া উচিত।’

কাশ্মীর ইস্যুতেও জাতিসংঘে কথা বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘৭৪ বছর ধরে চলে আসা কাশ্মীরী ইস্যু জাতিসংঘের রেজল্যুশন অনুযায়ী, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা দরকার।’

অন্যদিকে, নতুন করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি না করার ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর পরিবর্তে সবুজায়ন ও লো কার্বন এনার্জিভিত্তিক প্রকল্পের দিকে নজর দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়।