জাপানে প্রমোদতরীর ১০ আরোহীর দেহে করোনা শনাক্ত, আরো আক্রান্তের আশঙ্কা
জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙর করানো একটি প্রমোদতরীর কমপক্ষে ১০ আরোহীর দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীর তিন হাজার ৭০০ আরোহীর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এখনো আরোহীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তাই আরো আরোহীর দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৮০ বছরের এক হংকংয়ের নাগরিককে নামিয়ে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওই প্রমোদতরীটি গতকাল মঙ্গলবার পরীক্ষার জন্য পৃথক করে রেখেছিল জাপান।
জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রমোদতরীর ১০ জনের মধ্যে চারজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, চারজনের বয়স ষাটের ঘরে। বাকি দুজনের বয়স সত্তর ও আশির কোঠায়। তবে এনএইচকের দাবি, আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা ‘ততটা গুরুতর নয়’।
জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বুধবার এ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা তাঁদের (আক্রান্ত ব্যক্তিদের) জাহাজ থেকে নামিয়ে দিয়েছি। তাঁদের স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে পাঠানো হচ্ছে।’
সংবাদ সংস্থা বাসস গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছিল, টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, ইয়োকোহামা বন্দরে গত সোমবার সন্ধ্যায় ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজটির আরোহীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জাহাজটিতে প্রবেশ করেছে।
হংকংয়ে গত ২৫ জানুয়ারি ৮০ বছরের এক যাত্রী গুরুতরভাবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ায় তাঁকে জাহাজ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
জাপান সরকারের প্রধান মুখপাত্র ওশহহিদে সুগা গত সোমবার জানান, কর্তৃপক্ষ জাহাজটি পৃথক রেখেছে। প্রমোদতরীটি নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে ইয়োকোহামা উপসাগরে পৌঁছায়।
জাহাজে মাকে নিয়ে ভ্রমণকারী ২০ বছর বয়সী এক নারী যাত্রী বেসরকারি সম্প্রচার সংস্থা টিবিএসকে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছিল, ‘সব যাত্রীকে ভাইরাস পরীক্ষার জন্য তাদের কক্ষে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।’