ঝুঁকিতে সিরিয়া মিশন, দাবি মার্কিন জেনারেলের
প্রায় আট বছর আগে সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর মূল উদ্দেশে ছিল, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিশন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খোদ এক মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ দাবি করেছেন। আজ রোববার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে রয়টার্স।
লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, সিরিয়ায় মার্কিন মিশন ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জেনারেল মার্ক মিলে। সিরিয়ায় বিরল সফর শেষে শনিবার এ মন্তব্য করেন তিনি।
ঝটিকা সফরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনে যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক। জঙ্গি গোষ্ঠীর পুনরুত্থান রোধের প্রচেষ্টা মূল্যায়ন ও ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের ড্রোনসহ বিভিন্ন হামলার বিরুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে সিরিয়ায় গিয়েছিলেন এই মার্কিন কর্মকর্তা।
বর্তমানে সিরিয়ার এক তৃতীয়াংশ এলাকার শাসকদের পেছনে আইএসের ছায়া রয়েছে। এমনকি, সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী ইরাকেও তাদের আধিপত্য রয়েছে। কুর্দি সমর্থিত সিরিয়ার ডেমোক্রেটিক ফোর্সের কাছে কয়েক হাজার আইএস জঙ্গি বন্দি রয়েছে। এই কুর্দিরা সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, আইএস এখনও বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
সিরিয়ায় অবস্থান করা নয়শ মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য ঝুঁকিতে রয়েছেন কিনা, মার্ককে প্রশ্ন করেন তার সফরসঙ্গী সাংবাদিকেরা। এর জবাবে মার্ক বলেন, ‘সিরিয়ায় থাকা সৈন্যরা আমাদের ও আমাদের মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, তারা ঝুঁকিতে রয়েছে।’
মার্ক আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আইএসের পরাজয় ও এই অঞ্চলে আমাদের বন্ধু ও মিত্রদের সমর্থন অব্যাহত রাখা দরকার। বিষয়টি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
গত মাসে আইএসের হেলিকপ্টার হামলায় চার মার্কিন সেনা আহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া গত মাসে মার্কিন সামরিক বাহিনী সিরিয়ায় ইরানের তৈরি একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছিল। এটি উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার একটি টহল ঘাঁটিতে নজরদারি চালানোর চেষ্টা করছিল।
গত জানুয়ারিতে সিরিয়ার আল-তানফ অঞ্চলে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে তিনটি ড্রোন হামলা চালানো হয়। দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তারা বলছে, একটি ড্রোন হামলায় ফ্রি সিরিয়ান আর্মির দুই সদস্য আহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, ড্রোন ও রকেট হামলা পেছনে দায়ী ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা।