ট্রাম্প টাওয়ারের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার
হামলা ও ভাঙচুরের আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিউইয়র্কের বাসভবন ট্রাম্প টাওয়ারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আশপাশের সব সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই রেকর্ড সংখ্যক গোয়েন্দা সদস্যসহ শতাধিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ-এনওয়াইপিডি।
ভবনের সামনে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি এবং কয়েকটি গার্বেজ ট্রাক রাখা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিক্রেট সার্ভিস, ডগ স্কোয়াড, গোয়েন্দা বাহিনীসহ শতাধিক পুলিশ সদস্য চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে ট্রাম্প টাওয়ার।
হামলা ও ভাঙচুরের আশঙ্কায় ট্রাম্প টাওয়ারের আশপাশের নামীদামি ব্র্যান্ডের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকেরা। প্রতিষ্ঠানের সামনের দিকে কাঠ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে ভাঙচুর এবং ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে।
নির্বাচনের আগে থেকেই ম্যানহাটন শহরের ফিফথ অ্যাভিনিউয়ে ৫৬ ও ৫৭ স্ট্রিটের মধ্যে অবস্থিত ট্রাম্পের বাসভবন ঘিরে বাড়তি সতর্কতা ছিল নিউইয়র্ক পুলিশের। একদিন আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল ট্রাম্প টাওয়ারের দিকে আসার সময় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে জিততে না পারায় স্থানীয় সময় শনিবার সকালেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
এর পর থেকে ট্রাম্প টাওয়ারের চারপাশে শতাধিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। লোহার ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাসভবনের সামনের ফিফথ অ্যাভিনিউসহ চারপাশের কয়েকটি সড়ক। গাড়ি তো দূরের কথা, কোনো পথচারীকে হেঁটেও যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না বাসভবনের আশপাশ দিয়ে।
শনিবার সকাল থেকে ট্রাম্প টাওয়ারের দুই ব্লক দূরে পুলিশ ব্যারিকেডের সামনে জড়ো হতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় জো বাইডেনের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে সেখানে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তারা ট্রাম্পের বাসভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়েই বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে এবং পদত্যাগ করে হোয়াইট হাউস ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়।