ডব্লিউএফপি চ্যালেঞ্জ নিলে শেয়ার বেচে বিশ্বের ক্ষুধা মেটাবেন ইলন মাস্ক

Looks like you've blocked notifications!
টেসলা ও স্পেস এক্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। ছবি : সংগৃহীত

অতি ধনীরা তাঁদের সম্পদের সামান্য অংশ দান করলে বিশ্বের বহু মানুষের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটানো সম্ভব। চাইলে অতি ধনীদের কোনো একজনের একবারের দানেই বিশ্বজুড়ে অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা মানুষ প্রাণে বাঁচবে।

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটি বলেছিলেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) পরিচালক ডেভিড বিসলি।

সাক্ষাৎকারে ডেভিড বিসলি বলেন, ‘চার কোটি ২০ লাখ মানুষ আক্ষরিক অর্থে মারা যাবে যদি আমরা ৬০০ কোটি ডলারের সহায়তা তাঁদের কাছে না পৌঁছাতে পারি।’ এ সময় টেসলা ও স্পেস এক্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের মাত্র দুই শতাংশ সম্পদেই মিটতে পারে পুরো বিশ্বের খাদ্য সংকট-এমন মন্তব্যও করেন তিনি।

বিসলির এমন দাবির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। ডব্লিউএফপি এটা ব্যাখ্যা করতে পারলে তাৎক্ষণিক শেয়ার বিক্রি করে ওই পরিমাণ অর্থ জোগাড় করে দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।

টুইটারে এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে। ড. এলাই ডেভিড নামের এক গবেষক টুইটারে সিএনএনের ওই খবরটির শিরোনামের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, ইলন মাস্কের দুই শতাংশ সম্পদ ৬০০ কোটি ডলার। ২০২০ সালে ডব্লিউএফপি ৮৪০ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করে। তাহলে কেন এই অর্থ দিয়ে বিশ্বের ক্ষুধা সমস্যা দূর করতে পারল না?

এই টুইটের নিচেই গতকাল রোববার মন্তব্য করেছেন ইলন মাস্ক। তিনি লিখেছেন, ‘ডব্লিউএফপি এই টুইটার থ্রেডে এসে যদি ৬০০ কোটি ডলারে কীভাবে বিশ্বের ক্ষুধা সমস্যা দূর হবে সেটি ব্যাখ্যা করতে পারে তাহলে, আমি এখনই টেসলার শেয়ার বিক্রি করে সেই টাকার জোগান দেব।’

সেই সঙ্গে টেসলার এও বলেছেন, তবে হিসাবটা হতে হবে উন্মুক্ত, যাতে সাধারণ মানুষ পরিষ্কার দেখতে পান সেই টাকা কীভাবে খরচ হবে।

ঠিক এর নিচে ইলন মাস্ক ও ড. এলাই ডেভিডকে ট্যাগ করে ডেভিড বিসলি লিখেছেন, আমরা কখনোই বলিনি যে ৬০০ কোটি ডলার বিশ্বের ক্ষুধা সমস্যা মিটিয়ে দেবে। এটা একটা এককালীন অনুদান যা এই নজিরবিহীন খাদ্য সংকটের মধ্যে চার কোটি ২০ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে।

উল্লেখ, ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার সূচকে ইলন মাস্কের বর্তমান নিট সম্পদ ৩১ হাজার ১০০ কোটি ডলার। বর্তমান দরে সে সম্পদের দুই শতাংশ বিক্রি করলে ৬০০ কোটি ডলারের বেশি নগদ অর্থ পাওয়া যাবে।