ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগ
২০২০ সালের নির্বাচনে পুনরায় জয় পেতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটের নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দেশটির পার্লামেন্টের ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ অভিযোগ আনা হয়। যদিও রিপাবলিকানরা এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি। ফাঁস হওয়া ফোনালাপ অনুযায়ী, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দেন ট্রাম্প। এর ভিত্তিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত শুরু করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। এরই ধারাবাহিকতায়, হাউস জুডিশিয়ারি কমিটিতে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে অভিশংসন শুনানি।
কিন্তু শুনানির আগেই স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটি তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ২০২০ সালের নির্বাচনের জেতার জন্য ট্রাম্প প্রবলভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
মার্কিন হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডাম শিফ বলেন, ‘এ বিষয়ে আরো তদন্ত প্রয়োজন। কেননা ফোনালাপের পুরো অংশে তাঁদের (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট) মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা আমরা জানি না। তবে এটা ঠিক যে, এই চক্রান্ত আগে থেকেই চলছিল। নির্বাচনে জিততে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্বাচন ব্যবস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছেন।’
তিনশ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা ও রাষ্ট্রীয় সফরকে বাইডেন পিতা-পুত্রের ওপর তদন্ত শুরু করার জন্য চাপ প্রয়োগে ব্যবহার করেছেন ট্রাম্প। এতে বলা হয়েছে, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। তবে রিপাবলিকান শিবির এ অভিযোগ মানতে নারাজ।
রিপাবলিকান হাউসের সংখ্যালঘু নেতা কেভিন ম্যাকার্থি বলেন, ‘প্রত্যেক মার্কিন নাগরিক বিশ্বাস করে, অভিশংসন প্রক্রিয়া দেশের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করবে। তাই এটা যদি আমরা করি, তা হবে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
গতকাল মঙ্গলবার ইন্টেলিজেন্স কমিটির ভোটাভুটিতে ওই প্রতিবেদন অনুমোদন পায়। প্রতিনিধি পরিষদে তোলা হলে, যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিশংসনের অভিযোগ অনুমোদন পায়, তাহলে রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন সিনেটে এর বিচার শুরু হবে। সেখানে দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনের ওপর নির্ভর করছে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে থাকা না থাকা।